বিনোদন ডেস্ক : থলে বিড়াল রয়েছে। আর সেটা কালো নাকি সাদা? এ নিয়ে জল্পনা থেকেই যায়। তবে থলের বেড়াল বের হওয়ার পরই বুঝা যায়, বিড়াল সাদা না কালো। আর এমন দশাই হয়েছে বলিউডের কৃষখ্যাত অভিনেতা হৃত্বিক রোশন ও কুইন কঙ্গনার ক্ষেত্রে।
সম্প্রতি এই দুই তারকা ব্যক্তিগত সম্পর্কের দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। তাদের দ্বন্দ্বটা এখন এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে, একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। আর এ নিয়ে বলিউডজুড়ে চলছে তুমুল হৈ চৈ।
এদিকে এরই মধ্যে হৃত্বিক দাবী করেছেন কঙ্গনা তাকে এক হাজারেরও বেশি ই-মেইল করেছিল। যা রীতিমতো বিরক্তকর। তবে এবার কঙ্গনা আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ফাটালেন বোমা। তিনি এবার এমন কথাই বলেছেন, যা শোনে অনেকের চোখই কপালে উঠেছে।
তবে এই দুই তারকার কাদা ছোড়াছুড়িতে প্রকাশ্যে আসছে তাদের অনেক গোপন তথ্যও। যা এ মুহূর্তে বলিউডে নাম্বার ওয়ান আলোচনার খোরক যোগাচ্ছে।
তাহলে কি এমন গোপন তথ্য এবার কঙ্গনা ফাঁস করেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, কঙ্গনাকে নাকি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন হৃত্বিক রোশন! এখবর আবার প্রকাশ করেছেন কঙ্গনার এক বন্ধু।
একটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার এক বন্ধু বলেন, ‘২০০৯ সালে ‘কাইট’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় তাদের (হৃত্বিক ও কঙ্গনা) মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে তারা পরস্পরের সান্নিধ্যে আসেন এবং একে অন্যের ভালো বন্ধু হয়ে যান।
তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরো গাঢ় হয় যখন হৃত্বিক তার বাবার পরিচালনায় ‘কৃষ-থ্রি’ সিনেমায় কঙ্গনার অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এরপর যখন তারা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, তখন হৃত্বিক তার কাছে প্রকাশ করেন তিনি ও সুজান আলাদা ঘরে ঘুমান। কঙ্গনা কখনো তার প্রেম নিয়ে মুখ খোলেননি কারণ হৃত্বিক সব সময়ই তাকে বলে এসেছেন, তিনি সুজানকে কখনোই ডিভোর্স দেবেন না।
এরপর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কঙ্গনার কাছে হৃত্বিকের একটি ফোন কল আসে এবং সেটি শুনে তিনি অবাক হয়ে যান। হৃত্বিক জানান, তিনি সুজানকে ডিভোর্স দিতে চান। সে সময় কঙ্গনা সুইজারল্যান্ডে ছিলেন এবং হৃত্বিক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ ঘটনার পর, ভালোবাসার শহর খ্যাত প্যারিসে হৃত্বিক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
১৭ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন