রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১৬, ১১:৫৭:৩২

চলে গেলেন দিতি কাঁদিয়ে গেলেন পুরাে বাংলাকে

চলে গেলেন দিতি কাঁদিয়ে গেলেন পুরাে বাংলাকে

জিহরুল ইসলাম : ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পারভিন সুলতানা দিতি।  গত বছর থেকেই ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত দিতি রীতিমতো যুদ্ধ করেছেন।  শেষ পর্যন্ত সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন পরপারে।

দীর্ঘ এ যুদ্ধে তার সঙ্গে সারাক্ষণ সঙ্গ দিয়েছেন দুই সন্তান লামিয়া আর দীপ্ত। পাশে থেকে সবসময় শক্তি দিয়ে গেছেন মাকে।  আর কোনোদিন মায়ের পাশে থাকতে হবে না লামিয়া-দীপ্তকে।
 
দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ অভিনেত্রী পারভিন সুলতানা দিতি রোববার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে মারা যান।  রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আজ রাত বাদ এশা রাত আটটায় গুলশান আজাদ মসজিদে দিতির প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।  এরপর ফের তাকে হাসপাতালের হিমাগারেই রাখা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ইউনাইটেড হাসপাতালের মিডিয়া মুখপাত্র ডা. সাগুফতা জানিয়েছেন, সকাল আটটা সাড়ে আটটার মধ্যে স্বজনদের উদ্দেশ্যে দিতিকে তার গুলশানের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে।  সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর সকাল দশটা সাড়ে দশটার মধ্যে দিতিকে তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

দিতির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মা ও দাদির কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে।  এ কথা জানিয়েছেন ডা. সাগুফতা।

পারভিন সুলতানা দিতি আশির দশকের শেষের দিক আর নব্বইয়ের শুরুতে ঢাকাইয়া সিনেমার শুধু পরিচিত মুখই ছিলেন না; বলা চলে ঢালিউড সে সময় দিতির উপর নির্ভর ছিলো। পারভীন সুলতানা দিতি ৩১ মার্চ, ১৯৬৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে দিতির আগমন ঘটে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত আর মুক্তি পায়নি।

দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আমিই ওস্তাদ’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আজমল হুদা মিঠু। এরপর দিতি প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে দিতি আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতেই অভিনয় করে দিতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

দিতির অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য ছবির নাম এখানে তুলে ধরা হলো : হীরামতি, দুই জীবন, ভাই বন্ধু, উছিলা, লেডি ইন্সপেক্টর, খুনের বদলা, আজকের হাঙ্গামা, স্নেহের প্রতিদান (১৯৯৯), শেষ উপহার, চরম আঘাত, স্বামী-স্ত্রী, অপরাধী, কালিয়া, কাল সকালে (২০০৫), মেঘের কোলে রোদ (২০০৮), আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮), মুক্তি (২০১৪), কঠিন প্রতিশোধ (২০১৪), জোনাকির আলো (২০১৪), তবুও ভালোবাসি (২০১৩), পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩), হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ (২০১১), মাটির ঠিকানা (২০১১), নয় নম্বর বিপদ সংকেত (২০০৭), দূর্জয় (১৯৯৬), সুইট হার্ট, ধূমকেতু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

ঢাকাই চলচ্চিত্রঅঙ্গনের বরেণ্য অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি। তিনি প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সেরা নায়িকা দিতি। আজ রোববার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন)।

বর্তমান প্রজন্মের অনেক অভিনয়শিল্পীরা দিতিকে আইডল হিসেবে মানেন। গুণী এই অভিনেত্রীর সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করে অনেক কিছুই শিখেছেন তারা। শুধু এই প্রজন্মের নয়, দিতির সমসাময়িক তারকাদের হৃদয়ে জমে আছে অনেক স্মৃতি। না বলা অনেক কথা।

প্রিয় মানুষকে হারানোর কষ্টের ছায়াও তাদের মধ্যে ভর করেছে। শোকের এই ছায়া পড়েছে পুরো চলচ্চিত্রাঙ্গনেও। সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী দিতির সহশিল্পীরা দিতির শেষ বিদায়ে একবারের মতো দেখার জন্য ছুটে আসেন। ইউনাইটেড হাসপাতালে তারকাদের শোকাতুর আহাজারিতে ভারি হয়ে যায় হাহাকারের বাতাস। কয়েকজন সহকর্মীদের শোক গাঁথা :

শাকিব খান : যৌথ প্রযোজনার সিনেমা 'শিকারী'র শুটিং-এ কলকাতায় অবস্থান করছেন অভিনেতা শাকিব খান। ফেইসবুকে তিনি লেখেন, 'অভিনেত্রী পারভিন সুলতানা দিতি আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।'
 
শবনম : দিতির সঙ্গে আমি দুটো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। একটি পাকিস্তান বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার 'লেডি কমান্ডো এবং অন্যটি সুভাষ দত্তের 'সহধর্মিনী'। আপাদমস্তক একজন ভালো মানুষ ছিলো দিতি। সবসময়ই হাসি তার মুখে লেগেই থাকতো। এমন মানুষ ইন্ডাষ্ট্রিতে বিরল। আমি তার আত্নার শান্তি কামনা করছি।

চিত্রনায়ক উজ্জল : দিতির প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র 'আমিই ওস্তাদ' চলচ্চিত্রে আমি তার বড় ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। আর তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ চলচ্চিত্র 'রাজা বাবু'তে আমার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলো। সত্যি বলতে কি খুব দুঃখ হয় দিতির এভাবে চলে যাওয়াটা নিয়ে। এটা সত্যি যে শিল্পীদের অনেক যুদ্ধ করতে হয়, সংগ্রাম করতে হয়। দিতির সেই সাহস ছিলো যুদ্ধ জয়ী হবার। জীবন যুদ্ধে দিতি জয়ী হয়েছিলো। কিন্তু আমি যেন আমার ছোটবোনটাকে হারালাম!

সুবর্ণা মোস্তাফা : সহ-অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা শোক প্রকাশ করে তার ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন দিতির সঙ্গে অভিনীত টেলিফিল্ম 'গেস্ট হাউস'-এর ইউটিউব লিঙ্ক। সঙ্গে লিখেছেন, 'দিতিকে স্মরণ করছি। শুটিং চলাকালীন কতো মজাই না হতো! শান্তিতে ঘুমাও আমার অপরূপা বন্ধু।'

ওমর সানি : হ্যাঁ আমি শুনেতে পেয়েছি। এখন ওনাকে (দিতি) ইউনাইটেড হাসপাতালে যাচ্ছি (অনেকটা আবেগ জড়ানো কণ্ঠে)। ওনাকে (দিতি) নিয়ে এত স্মৃতি জমা আছে যে, তার থেকে কটার কথা বলবো আপনাকে (এ কথা বলেই কেঁদে ফেলেন এই ওমর সানি)। আমি এখন কথা বলতে পারছিনা পরে কথা বলব?

ফেরদৌস : আমজাদ হোসেন পরিচালিত 'কাল সকালে' চলচ্চিত্রে দিতি আপুর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। এরপর আর কাজ করার সুযোগ হয়নি। দিতি আপু অসাধারন একজন মানুষ ছিলেন। তার মতো এতো বিনয়ী, এতো হাসিখুশি মানুষ চলচ্চিত্রে দেখিইনি আমি। আমার দুভার্গ্য যে হয়তো তাকে শেষ দেখাটা দেখতে পারবোনা। কারণ আমি একটি জরুরী কাজে দিনাজপুর এসেছি।

মাহিয়া মাহি : তবুও ভালোবাসি চলচ্চিত্রে আমি ওনার সাথে কাজ করেছি। এ চলচ্চিত্রে উনি আমার শ্বাশুরির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তারপর থেকেই আমি ওনাকে শ্বাশু মা বলে ডাকতাম। উনি আমার চোখে আসাধানরণ একজন মানুষ। অনেক মানুষের টাকার প্রতি একটা নেশা থাকে। কিন্তু উনার মধ্যে এই বিষয়টি একেবারে ছিল না। অভিনয় করে উনি যে টাকা আয় করতেন তা নিয়ে ঘুরা-ফেরা ও আনন্দ করে ব্যয় করতেন। আমি শ্বাশুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

ববিতা : দিতি আর আমি বলা যায় আমরা একই পরিবারের সদস্য। সোহেল খুন হবার পর দিতি খুব কষ্ট করে দুই ছেলে মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করেছে। সত্যি বলতে কি দিতি আমার জুনিয়য়র হলেও তারসঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিলো বন্ধুর মতো। আউটডোরে যখন শুটিং-এ যেতাম তখন আমরা এক গাড়িতে করেই শুটিং-এ যেতাম। গল্প করতে করতে পথ হয়তো শেষ হয়ে যেতো কিন্তু' গল্প শেষ হতোনা। আমার নিজের প্রযোজনা সংসার' থেকে 'চ্লিদাস ও রজকিনী' চলচ্চিত্রে তাকে নিয়ে কাজ করেছিলাম। একজন ডেডিকেটেড শিল্পী ছিলো দিতি। সর্বশেষ তাকে যখন দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম তখন আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে চুমো খাচ্ছিলো বার বার। সেই শেষ স্মৃতি কখনোই ভুলবোনা। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্তবাসী করেন।

ইমন : আমি কিছুক্ষণ আগে এই দুঃসংবাদটি পেয়েছি। এখন আমি শুটিংয়ে আছি। খবরটি শোনার পর শুটিংও ঠিকমতো করতে পারছি না। খুব খারাপ লাগছে। কষ্ট লাগছে। আমি দিতি আপুর সঙ্গে অন্তরঙ্গ চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এই চলচ্চিত্র চাষী নজরু ইসলাম স্যারের সর্বশেষ চলচ্চিত্র। দিতি আপু অভিনীতও শেষ চলচ্চিত্র এটি। নজরুল স্যার অসুস্থ হওয়ার পর আমি আর দিতি আপু শুটিং সেটে আলোচনা করছিলাম, সিনিয়র সবাই কেমন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তারপর-ই অসুস্থ হন দিতি আপু। অবশেষে উনিও চলে গেলেন। গুরুজন, প্রিয়জনকে একএক করে হারাচ্ছি।

ইলিয়াস কাঞ্চন : আমাদের প্রত্যেককেই দিতির মতো একদিন চলে যেতে হবে। তার এভাবে চলে যাওয়া থেকে আমাদের সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে যে আমাদেও কে যেকোন সময় আল্লাহর কাছে চলে যেতে হবে। দিতি আমার একজন ভালো সহকর্মী ছিলেন। তার চলে যাওয়ায় শুধু একটি কথাই বলবো আর তা হলো আল্লাহ যেন তার গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে তাকে বেহেস্ত নসীব করেন।

রিয়াজ : দিতি আপুর সঙ্গে চলচ্চিত্রের আসার প্রথমদিন থেকেই আমার বেশ ভালো পরিচয় এবং পারিবারিক সম্পর্ক। সৈয়দ হারুনের একটি চলচ্চিত্রে তারসঙ্গে প্রথম অভিনয় করি। এরপর 'আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা', 'সুইটহার্ট'সহ আরো বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করি। একজন মানুষ কতোটা উদার আর মহান হতে পারেন দিতি আপা ছিলেন তার যথাযথ উদাহরণ। এমন মানুষ সত্যিই আমাদের চলচ্চিত্র জগতে খুবই কম আছেন। তার এভাবে চলে যাওয়াটা সত্যিই মেনে নেবার মতো নয়। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করেন।

পূর্ণিমা : চলচ্চিত্রে আমার প্রিয় মানুষদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন দিতি আপা। তারএভাবে চলে যাওয়াতে সত্যিই ভীষণ ক্ষতি হয়েগেলো আমাদের। দিতি আপু শুধু একজন অভিনেত্রীই ছিলেন না আমাদের একজন অভিভাবকও ছিলেন।  একজন মানুষ কতোটা বড় মনের হতে পারে তিনি যেন তারই উদহারণ।

বাঁধন : আমি পুবাইল থেকে শুটিং বাতিল করে চলে আসছি। দিতি আপার কাছে যাচ্ছি। আমি কিচ্ছু বলতে পারব না, কিচ্ছু না।

অঞ্জনা : এফডিসির প্রিয়মুখ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দিতির সাথে পরিচয় হয়েছিল। তখন থেকেই ঘনিষ্ঠতা। আমাদের বাসা ছিল পাশাপাশি, এমনকি দুজনের রুমের জানালাও ছিল পাশাপাশি। সেই জানালা দিয়েই দুজন কথা বলতাম। আমার মাও দিতিকে খুব পছন্দ করতেন। মায়ের সাথেও দিতির কথা হতো। দিতিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তখন খুব খারাপ লেগেছিল। কিন্তু আমি ওর লাশ দেখতে যাব না। জসিম ভাইয়ের লাশ দেখার পর থেকে আমি আর কারো লাশ দেখতে পারি না।

পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন : দিতি অভিনীত সবশেষ সিনেমা 'সুইটহাটর্'-এর পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন বললেন, 'ব্যাপারটা খুবই দু:খজনক। তিনি আমাদের এভাবে ছেড়ে চলে যাবেন তা আমরা কখনোই ভাবিনি। তার মৃত্যুসংবাদে আমি খুবই মর্মাহত।' ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে দিতির কাজ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বললেন, 'শুটিং এর সময় আমাদের সব কিছুই তিনি খেয়াল রাখতেন। তিনি আমার কাছে আমার আপন বড় বোনের মতো ছিলেন।'

উল্লেখ্য, রোজার ঈদের কয়েকদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ পড়েন দিতি।  দ্রুত তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৫ জুলাই আবাবো ভারতের চেন্নাইয়ের এমআইওটি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।  

তখনো মায়ের পাশে সার্বক্ষণিকভাবে ছিলেন তার মেয়ে লামিয়া, কানাডা প্রবাসী ছেলে দীপ্ত ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহিম গুলজার।

তৃতীয়বারের মত মস্তিষ্কে অপারেশন করার পর দিতির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হতে থাকে।  পরে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।  ফেসবুকে লামিয়া জানিয়েছিলেন, তৃতীয়বারের মতো তার শরীরের সার্জারি করা দরকার। কিন্তু ডাক্তাররা বলেছেন, তার জন্য কিছু সময় নিতে হবে।  মারাত্মক অবস্থা থেকে তাকে ফিরে আনতে আমরা সবাই চেষ্টা করছি।

অবস্থার কোনোপ্রকার উন্নতি না হওয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বাংলাদেশের ফেরত আনা হয়।  এরপর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  সেখানে সম্পূর্ণ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।  আজ দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিলেন তিনি।
২০ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে