বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩০:৪১

সবকিছু খুলে বলতে হয় না, কিছুটা বুঝে নিতে হয় : ঈশানা

সবকিছু খুলে বলতে হয় না, কিছুটা বুঝে নিতে হয় : ঈশানা

বিনোদন ডেস্ক : প্রস্তাবে রাজি হয়নি বলেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মারুফ খান।  নিজেকে এভাবে দেখব তা কখনো কল্পনাও করিনি।  আমার মতো মেয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয়া হয়েছে।   কারণ একটাই, আমি কোনো আপস করিনি।  

অশ্রুভেজা কণ্ঠে নিজের আবেগ এমনভাবেই গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করলেন মডেল ও অভিনেত্রী ঈশানা।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে টক অব দ্য মিডিয়ায় পরিণত হন এই অভিনেত্রী।  প্রযোজক ও অভিনেতা মারুফ খান প্রেমের দায়ের করা একটি মানহানির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় ঈশানার বিরুদ্ধে।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মানহানির অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন প্রেম।  ওইদিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঈশানাকে ২২ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করে আদালত।  মঙ্গলবার ঈশানা আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।

ঈশানা বলেন, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি উত্তরার নীলাঞ্জন শুটিং স্পটে নাটকের শুটিংয়ের সময় বাদীর অনুপস্থিতিতে তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছি।  একইসঙ্গে ফেসবুকেও প্রেমকে নিয়ে একটি মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়েছি বলে অভিযোগ করা হয়।  এতে বাদীর মানহানি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।  কিন্তু মামলার নেপথ্যে আরো অনেক কিছুই রয়েছে।'

তিনি বলেন, বিষয়টা ওইদিনই শুটিংস্পটে সুরাহা হয়ে যায়।  স্থানীয় পুলিশের এক অফিসারের সমঝোতায় সেখানেই ইতি ঘটে এ ঘটনার।  অথচ তিলকে তাল করে ছাড়লেন প্রেম।  একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন মারুফ খানের ইতিবৃত্ত।

ঈশানা বলেন, সবকিছু খুলে বলতে হয় না, কিছুটা বুঝে নিতে হয়।  হাতের পাঁচ আঙ্গুল এক রকম নয়।  আমি কেমন মেয়ে সেটা আপনারাই ভালো জানেন।  প্রতিবাদ করেছি বলেই মামলায় পড়েছি।  আমিও এর জবাব কোর্টেই দেব।

তিনি বলেন, একটু অবহেলা হয়ে গেছে আর কি, যেটা মোটেও উচিত হয়নি। দু'একদিনের মধ্যে আদালতে জামিন চাইব।  এরই মাঝে মারুফ আমার সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চেয়েছিল।  ওই সময় কি বলেছিলেন তা প্রকাশ করার মতো নয়।  তবে এতটুকু বলতে পারি, নিজের বিবেককে বিক্রি করে কোনো কাজ করতে রাজি নই।

এ ব্যাপারে মারুফ খান বলেন, নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে আঘাত করলে ছাড় দেয়ার লোক নই আমি।  অনেকটা বাধ্য হয়েই কোর্টে গিয়েছি।  স্পটে সুরাহা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ঈশানা।  যেখানে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়।  তাই মামলার সিদ্ধান্ত নিই।
২৩ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে