বিনোদন ডেস্ক : নির্বাচনে তারকা প্রার্থী দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির চমক দেওয়াটা এখন একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে। এরাজ্যে এই প্রবণতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
তাপস পাল, শতাব্দী রায়, চিরঞ্জিত, দেবশ্রী রায়, মুনমুন সেন,সন্ধ্যা রায় থেকে দেব, বাবুল সুপ্রিয়-এখন এরা সবাই ‘জনপ্রতিনিধি’। এবারের নির্বাচনেও সোহম, রূপা, লকেটের মতো টলিউডের বেশ কয়েকটা পরিচিত মুখও প্রার্থী হয়েছেন।
তবে সাধারণ ভোটারদের অনেকেরই অভিযোগ, নির্বাচনে জেতার পর তারকা প্রার্থীদের নাকি এলাকায় দেখা যায় না। এমনকি সংসদ কিংবা বিধানসভাতেও তাদের উপস্থিতির হার খুব কম থাকে। উপস্থিত থাকলেও তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন না। আর এ নিয়ে যা বললেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র?
শ্রীলেখা বললেন, ‘আমিও অনেক জায়গায় শো করতে গিয়ে সেখানকার মানুষের কাছে এই একই অভিযোগ শুনেছি। তারা বলেন, ‘আমরা এদের অনেক সিনেমা দেখেছি। এরা আমাদের খুব পছন্দের অভিনেতা-অভিনেত্রী। তাই তাদের ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু ভোটে জেতার পর এখন আর তাদের এলাকায় দেখা যায় না। আমরা খুব হতাশ।’
তিনি বলেন, দেখুন যদিও আমি খুব নগন্য একজন অভিনেত্রী তবুও আমার মনে হয় অভিনয়ের কেরিয়ার আর পলিটিক্যাল কেরিয়ার-দুটো একসঙ্গে ব্যালান্স করতে গিয়ে তারকারা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়েন। তাই জনপ্রতিনিধি হিসাবে যতটা কাজ করার কথা তারা করতে পারেন না। প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন না। এরফলে যারা তাদের ভোট দিয়েছিলেন তারা আশাহত হয়ে পড়েন। তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। সবকিছুতেই ব্যতিক্রম থাকে। অনেকে হয়তো কাজ করেন, করছেন।
শ্রীলেখা নিজেই বললেন, কোন দল দিয়েছে সেটা বলব না তবে আমার কাছেও ভোটে প্রার্থী হওয়ার অফার এসেছিল কিন্তু আমি রাজি হয়নি৷ যদিও আমি খুব বেশি যে কাজ করি তা নয়৷ কিন্তু কোয়ালিটি কাজ করি। আমার মনে হয়েছে, এই দুটো কাজ একসঙ্গে আমি ব্যলান্স করতে পারব না। মানুষকে ঠকাব। তাই রাজি হয়নি।
তিনি বলেন, তাছাড়া আমার পলিটিক্সে কোনও ইন্টারেস্ট নেই। গ্রাম-শহরের তফাৎ আর এখন সেরকম নেই। সব কিছু এখন মিলেমিশে যাচ্ছে। মানুষ এখন অনেক সচেতন। আমার মনে হয় এবার যেসব তারকারা প্রার্থী হয়েছেন তারা যে দলেরই হোক না কেন শুধুমাত্র তারকা তকমা নিয়ে ভোটে জেতাটা খুব টাফ। কারণ মানুষের তারকা প্রার্থীদের সম্পর্কে ধারণা এখন অনেক নেগেটিভ। তাই তাদের জয়টা নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
৩০ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন