বিনোদন ডেস্ক : বফর্স কামান দুর্নীতিতে জড়িত না থেকেও দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বদনামের ভাগীদার হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। আজ ব্লগে সেই প্রসঙ্গের স্মৃতিচারণা করে তিনি লিখলেন, ‘তখন ওরা ক্রমাগত বফর্স কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে আমাকে এবং আমার পরিবারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সেটা আমাদের কাছে সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়’।
যদিও কে বা কারা তাকে বফর্স কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি অমিতাভ।
রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে অভিযোগ উঠেছিল, সুইডেনের অস্ত্রনির্মাতা সংস্থা বফর্স ভারতীয় সেনার জন্য কামান সরবরাহের বরাত পেতে ৬৪ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে। এই অস্ত্রচুক্তির পিছনে রাজীবের বন্ধু তথা তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ অমিতাভের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অমিতাভ।
৭৩ বছরের ‘শাহেনশা’ সেই প্রসঙ্গ তুলে লিখেছেন, ‘বিতর্কই সবচেয়ে দ্রুতগামী। সমুদ্রের তলায় তারের মধ্যে দিয়ে বা মহাকাশে উপগ্রহের মাধ্যমে যা ছড়িয়ে পড়ে, মানুষ তাতেই বিশ্বাস করে। প্রবল প্রচার ঝড়ে যুক্তি এবং বিচারবোধ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সভ্য চেতনা ধ্বংস হয়ে যায়’।
২০১২ সালে সুইডেনের প্রাক্তন পুলিশ প্রধান তথা বফর্স অস্ত্রচুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতির মূল তদন্তকারী আধিকারিক স্টেন লিন্ডস্টর্ম জানিয়েছিলেন, অমিতাভ কোনও দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না। কিছু ভারতীয় তদন্তকারী অফিসার ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ অমিতাভ এবং তার পরিবারকে বফর্স দুর্নীতিতে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
সরাসরি কাউকে নিশানা না করলেও স্টেনের ইঙ্গিত ছিল প্রধানমন্ত্রী পদে রাজীবের উত্তরসূরি ভি পি সিংহের দিকে। রাজীব-অমিতাভের বিরুদ্ধে বফর্স-দুর্নীতির অভিযোগ তুলেই কংগ্রেস ছেড়ে জনতা দল গড়েছিলেন ভি পি। স্টেনের বিবৃতির পর ব্লগে অমিতাভ লিখেছিলেন, ‘জীবনে ফেলে আসা ক্ষতির হিসাব মেলানোর চেষ্টা করব না কখনও’।
১ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন