বিনোদন ডেস্ক : অসাধারণ কণ্ঠ আর প্রতিবাদী গানসহ মানবতা বোধের জন্য আরব জগতের আইডল এখন মোহাম্মদ আসেফ। তার জন্ম পৃথিবীর জাহান্নাম হিসাবে পরিচিত গাজার উদ্বাস্তু শিবিরে। বর্তমানে তিনি ২৪ বছরের এক টগবগে যুবক। তিনি এখন আরব গায়ক হিসাবে অবস্থান করছেন খ্যাতির শীর্ষে।
তবে কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ আসেফ শুধু যে আরব জগতের আইকন, তা কিন্তু নয়। তাকে পুরো দুনিয়ারই আইকন বলা হয়ে থাকে। তার গানের কথা ও সুর এবং অসাধারণ এক কণ্ঠ প্রতিটি মানুষের হৃদয় যেন ছুঁয়ে যায়। মূলত তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের গনহত্যা বন্ধ করার দাবী জানিয়ে ১০ কোটি আরব দর্শকের সামনে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য গান গেয়ে এই খ্যাতির শিখরে পৌছে যান।
জানা গেছে, যখন তার বয়স মাত্র চার বছর তখন খান ইউনিস উদ্বাস্ত শিবিরে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে বহু লোকের নিহত হওয়ার দৃশ্য তিনি খুব কাছ থেকেই দেখেছেন। এবারও তিনি গাজায় একই হত্যাকান্ডের দৃশ্য দেখেছেন। ইসরাইলি হামলায় ২২০০ গাজাবাসী নিহত হয়েছে। এরমধ্যে ৫১৩ জন ছিলো শিশু। যা তার কোমল হৃদয়কে দারুণভাবে প্রভাবিত করে।
মোহাম্মদ আসেফ জানিয়েছেন, আমি দেখেছি বোমা আর শেলের আঘাতে মুহুর্তের মধ্যে একটি পরিবার কিভাবে আপনজন হারিয়ে ফেলছে। কিভাবে শিশুরা এতিম হয়ে যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে গাজাকে পৃথিবীর জাহান্নামে পরিনত করা হয়েছে।
গত বছর গাজা থেকে আসেফ মিশরে গিয়ে পপ গানের অডিশন দিয়ে বিজয়ী হন। এরপর তার নাম ছড়িয়ে পড়ে আরব জগতে। ইতোমধ্যে আমেরিকা থেকে অষ্ট্রেলিয়া সব জায়গায় তার কনসার্ট হয়েছে। প্রতিটি কনসার্টে ছিলো উপচে পড়া ভিড়। টিকেট কিনতে হয়েছে অনেক আগে।
এছাড়া আরব আইডলে বিজয়ের পর মোহাম্মদ আসেফ হয়ে উঠেন গাজার কন্ঠস্বর । এখন তিনি পরিনত হয়েছেন গ্লোবাল সুপারস্টারে। তিনি যখন অডিশনের শেষ দিনে গান গাইছিলেন তখন আরব জগতের ১০ কোটি লোক তার গান শুনেছেন। ইয়াসির আরাফাত যে স্কার্ফ মাথায় জড়িয়ে রাখতেন সে রকম একটি স্কার্ফ হাতে দেশপ্রেমমুলক গান পরিবেশন করে দর্শকদের আপ্লুত করেন। এই স্কার্ফকে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম আর স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
৪ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন