সোমবার, ০৪ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:০১:০০

নায়িকার মৃত্যু রহস্য নিয়ে দুই বন্ধুর বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ!

নায়িকার মৃত্যু রহস্য নিয়ে দুই বন্ধুর বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ!

বিনোদন ডেস্ক : আত্মহত্যা নয়, হত্যা! প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুরহস্যকে ঘিরে এবার এমনই তথ্য প্রকাশে আসল। আর এই তথ্য প্রকাশ করেছেন তারই এক ঘনিষ্ঠ বন্ধবী কামিয়া পঞ্জাবি। প্রত্যুষা যে আর নেই- এ খবরটাও মিডিয়াকে দিয়েছিলেন কামিয়াই। কিন্তু, সেখানেই থেমে থাকলেন না তিনি। প্রিয় বন্ধু যাতে সুবিচার পান, সে জন্য একে একে সাংবাদ সম্মেলনে অনেক বিস্ফোরক তথ্যই জানালেন কামিয়া।

কামিয়ার দাবি, প্রত্যুষার আত্মহত্যার কারণ নিয়ে অনেক ভুয়া খবর উড়ে বেড়াচ্ছে বাতাসে। জল্পনা-কল্পনার আর শেষ নেই। তবে, কামিয়ার বক্তব্য, প্রত্যুষা আত্মহত্যা করেননি। তাকে খুন করা হয়েছে।
'প্রত্যুষার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর সময় ওর নাক ছিল ভাঙা অবস্থায়। এর থেকেই স্পষ্ট, প্রত্যুষাকে কেউ নৃশংস ভাবে মারধর করেছে। মানে, এটা আত্মহত্যা নয়। তা ছাড়া, প্রত্যুষার উচ্চতা ছিল মাত্র পাঁচ ফুট। সেক্ষেত্রে দশ ফুট উঁচু সিলিংয়ে ও কীভাবে গলায় দড়ি দেয়?' এমনই সব প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন কামিয়া।

শুধু কামিয়াই নন। সাংবাদ সম্মেলনে কামিয়ার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন প্রত্যুষার আর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিকাশ গুপ্ত। বিকাশের বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার যে, প্রত্যুষাকে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন করা হত। আর এই নির্যাতন করতেন অভিনেত্রীর বয়ফ্রেন্ড রাহুল রাজ সিং এবং তার সাবেক বান্ধবী সালোনি শর্মা।

'রাহুল সবার সামনেই প্রত্যুষার গায়ে হাত তুলত। বেশ কয়েকটা পার্টিতে ও সবার সামনেই প্রত্যুষাকে থাপ্পড় মেরেছে। শুধু আমরাই না, এ ঘটনার সাক্ষী রয়েছে অনেকেই। আর, শুধু রাহুলই নয়, রাহুলের সাবেক প্রেমিকা সালোনিও মাঝে মাঝেই মারত প্রত্যুষাকে। অশ্রাব্য-কুশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দিত। একবার, প্রত্যুষার ফ্ল্যাটে গিয়েও ওকে মেরে এসেছিল সালোনি', জানাচ্ছেন বিকাশ।

পাশাপাশি, বিকাশ আরো জানিয়েছেন, প্রত্যুষা এভাবে আর সম্পর্কটা টানতে পারছিলেন না। মৃত্যুর আগে তিনি ফোন করেছিলেন বিকাশকে। খুব কান্নাকাটিও করেছিলেন। ঠিকও করে ফেলেছিলেন, রাহুলের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন থানায়। কিন্তু, সেই সুযোগ আর পাননি তিনি। তার আগেই প্রত্যুষার মৃত্যু হয়।

এছাড়া প্রত্যুষার মৃত্যুর কারণ নিয়ে যে সব গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও দুটি বক্তব্য রেখেছেন বিকাশ। তার মধ্যে একটি এই যে অর্থনৈতিক কারণে প্রত্যুষা আত্মহত্যা করেননি। 'প্রত্যুষা একটা ক্যামিওর জন্যও লাখ খানেক টাকা চাইত। সেটা পেতও! ফলে আর যাই হোক, ওর টাকার অভাব ছিল না', দাবি বিকাশের।

দ্বিতীয়ত, প্রত্যুষা যে মৃত্যুর আগে গর্ভবতী ছিল, সেই সম্ভাবনাও খারিজ করে দিয়েছেন বিকাশ। 'দেখুন, নাম-যশ থাকলেও প্রত্যুষা খুব ঘরোয়া মেয়ে ছিল। ও যদি গর্ভবতী হত, তবে বিয়ে করে সংসারী হয়ে যেত। তা ছাড়া, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বা ডেথ সার্টিফিকেটে কিন্তু প্রেগন্যান্সির কোনো উল্লেখ নেই', বলছেন বিকাশ।
৪ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে