বিনোদন ডেস্ক : হৃত্বিক কঙ্গনার নামে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। আবার কঙ্গনাও হৃত্বিকের নামে পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে অনেকদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। তবে খবর এখন এটা নয়। খবর হচ্ছে, হৃত্বিকের বিরুদ্ধে কঙ্গনার পাঠানো আইনি নোটিশের ভিত্তি নিয়ে।
অনেকেই বলছে, হৃত্বিককে পাঠানো কঙ্গনার নোটিশটি টিকবে না। কারণ, প্রথমেই যে প্রশ্নটি উঠছে তা হল, কেন কঙ্গনা তার ল্যাপপটপ পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছেন না? কঙ্গনার কাছে ল্যাপটপ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি তা দেননি। এখনও পর্যন্ত কেনই বা সরকারিভাবে পুলিশের কাছে নিজের বয়ান দেননি কঙ্গনা? কেন হৃতিকের পাঠানো ই-মেল তিনি পুলিশকে দেননি, সে প্রশ্ন উঠেছে।
উল্টোদিকে এ-ও জানা গিয়েছে, হৃত্বিক কঙ্গনার পাঠানো ই-মেল পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে একটি ওয়েবসাইটের দাবি, কঙ্গনার ই-মেল থেকে পরিষ্কার যে, তার এবং হৃত্বিকের মধ্যে কখনও এমন কিছু হয়নি যাতে কোমর বেঁধে মামলা করতে হয়। শুধু তা-ই নয়, একটি সূত্র বলছে, কঙ্গনার টেক্সট বা ই-মেলের জবাব হৃত্বিক দিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণই নাকি এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্র বলছে, হৃত্বিক এবং কঙ্গনার কোনও ঘনিষ্ঠ ছবি তো দূর স্থান, একসঙ্গে তাদের কোনও ছবিই পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের বক্তব্য, দু’জন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে রয়েছেন কিন্তু তাদের কোনও ছবি নেই, এমনটা সাধারণত হয় না। তার থেকেও বড় প্রশ্ন, হৃত্বিক যদি অন্যায় করেই থাকেন, তা হলে তাকে ধরার পরিবর্তে কেন তার সঙ্গে ঝগড়া করছেন কঙ্গনা? পুলিশের বক্তব্য, হৃত্বিক যদি প্রতারকই হয়ে থাকেন, তা হলে কঙ্গনার উচিত অবিলম্বে প্রমাণ জোগাড় করা।
পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে একটি ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, কঙ্গনার কাছে যে সব ই-মেল পাঠানো হয়েছে, তা এসেছে দেশের বাইরে থেকে। পুলিশ সূত্রেই খবর, প্রেরকের সঙ্গে নিজের ছবি পর্যন্ত শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। তদন্তকারীরা বলছেন, কে এই কালপ্রিট, তা জানা প্রয়োজন। এই কারণেই তাদের হাতে কঙ্গনার ল্যাপটপ আসা জরুরি। কিন্তু সূত্রের খবর, কঙ্গনা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তার ল্যাপটপে ভাইরাস ঢুকেছে এবং সব কিছু মুছে গিয়েছে।
৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন