গ্রেফতার হচ্ছেন অভিনেত্রী জাকিয়া মুন!

বিনোদন ডেস্ক : তলবের নোটিস পেয়েও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যাননি মডেল ও অভিনেত্রী জাকিয়া মুন।  আজ মঙ্গলবার তার যাওয়ার কথা ছিল সেখানে।  পাঁচ কোটি টাকা দামের অবৈধ গাড়ি ব্যবহার করে আলোচনায় আসেন জাকিয়া মুন ও তার কথিত স্বামী ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিন।

শুল্ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মুন সেখানে হাজির হননি।  তাই মুনকে এখন খুঁজছেন তারা।  প্রয়োজনে তাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।

এর আগে তলবের চিঠি পাওয়া না পাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকবার নাটকের আশ্রয় নেন সম্প্রতি আলোচনায় আশা এ মডেল।  পাঁচ কোটি টাকা দামের অবৈধ গাড়ি ব্যবহার করে আলোচনায় আসেন তিনি ও তার কথিত স্বামী ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিন।  

এরপর থেকেই শুরু হয় নানা গুঞ্জন।  সময়ের সাথে বেগবান হতে থাকে মুখোরোচক এসব গুঞ্জন।  মিডিয়া পাড়ায় মুনের লাইফস্টাইল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।  বাসাও বদল করেন তিনি।  এরই মাঝে হাইকোর্টে খারিজ হয় তার রিট।

আজ কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছিল।  শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে জাকিয়া মুন ও শফিউল আজম মহসিনকে বক্তব্য শুনতে তলব করা হয়েছিল।  

এদিকে মুন ও তার স্বামী ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিনের রিট আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।  বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।  

রিট খারিজ হওয়ার বিষয়টি আদালত সূত্রে জানা গেছে।  রিটে মডেল মুন ও তার স্বামীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হয়রানি ও গ্রেফতার না করার নির্দেশ চাওয়া হয়।

জানা গেছে, মুন এবং তার স্বামী যদি শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হন তাহলে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাওয়া হবে— কেন অবৈধ গাড়ি ব্যবহার করেছেন?

শুল্ক ফাঁকির এই গাড়ি কেন কিনেছেন তার কথিত স্বামী।  এসব প্রশ্নের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না হলে মডেল জাকিয়া মুন ও তার কথিত স্বামী প্যাসিফিক গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিনের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে টার্কিশ হোপ স্কুল-সংলগ্ন মডেল মুনের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় পোরশা মডেলের গাড়িটি।  গাড়িটির মালিক তার কথিত স্বামী শফিউল আজম মহসিন।  

গাড়িটি উদ্ধারের সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন মুন।  শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ব্রিটিশ রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে বাংলাদেশে আনা এ গাড়িটি দীর্ঘদিন নজরদারিতে রাখা হয়েছিল।
১৯ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম