বিনোদন ডেস্ক : সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী, সেরা ডিজাইনার, সেরা সঙ্গীত, সেরা সহ-অভিনেত্রী প্রায় সব পুরস্কারই এই ছবির ঝুলিতে। ফ্যাশন ব্লগার, ফ্যাশন ক্রিটিকজ, স্টাইলিশদের থেকেও দারুণ প্রশংসা পেয়েছে বাজিরাও মস্তানি। বিশেষ করে মস্তানির চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন দীপিকা পাডুকোন। তার সংলাপ-অভিনয়, তার পোশাক, মেকআপ আর জুয়েলারি-এই ছবিতে সব কিছুই যেন পারফেক্ট লেগেছে।
কিন্তু এটা কি জানেন, বাজিরাও মস্তানিতে দীপিকাকে যে যে গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছিল, তা কত টাকার হতে পারে? এমনিতেই সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবি, সেখানে সব কিছু পারফেক্ট, রাজকীয় আয়োজন আর অভিনবত্ব থাকবে না, তা তো হতে পারেন না। তবে এখানে যেটা হয়েছে, তা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। ছবির একটি সিনে মস্তানি যে গয়না পড়েছিল, তার দাম মোটামুটি ৪৮ লক্ষ রুপির কাছাকাছি বা বাংলা টাকায় প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা! সব মিলিয়ে মস্তানির গয়নার খরচ ছিল ৫ কোটি রুপি বা বাংলা টাকায় ৬ কোটি রুপির মত।
ছবির ডিজাইনার অঞ্জু মোদি, যিনি পেশোয়ারের ইতিহাস ঘেঁটে, পোশাক থেকে শুরু করে গয়নার যাবতীয় তথ্য পড়াশোনা করে, সাজিয়েছিলেন মস্তানিকে। তার কথায়, সস্তার গয়না খুব সহজেই বানিয়ে ছবিতে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এই ছবিতে ব্যবহার করলে তা মেনে নেয়া যেত না। তাই চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আসল বাসরা মুক্তো, পুরোনো পাথর আর আনকাট হিরে, ২৩ ক্যারাট সোনা, রিয়েল রুবি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল মস্তানির গয়না। কারণ, এটি একটি পিরিয়ড মুভি, তাই সময়ের দিকটাও খেয়াল রাখতে হয়েছিল। দিল্লির শ্রীহরি জুয়েলারি, পুনের পিএন গাডগিল থেকে সেরা জুয়েলারি ডিজাইনাররা কাজ করেছেন এতে।
রাজপুত যোদ্ধা মস্তানি ছিলেন হিন্দু রাজা ও মুসলিম মায়ের একমাত্র মেয়ে। তাই তার সমস্ত কিছু নজর রেখে মস্তানির চরিত্রের জন্য বানানো হয়েছিল গয়না। চরিত্রের আব্দারে দীপিকাকে সাজানো হয়েছিল ঝুমর, হাতফুল, পোল্কি-মুক্তো নথ, চোকের, টু-টায়ার কানের দুল। মেকআপ ছিল খুবই সাধারণ।
২৪ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই