সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:৫৭:১৫

সালমান খানকে নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত ভারতীয় ক্রীড়ামহল

সালমান খানকে নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত ভারতীয় ক্রীড়ামহল

বিনোদন ডেস্ক : রিও অলিম্পিকে ভারতের শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হন বলিউড অভিনেতা সালমান খান। গতকাল এই ঘোষণার পরেই ভারতীয় ক্রীড়ামহল এখন দু’ভাগে বিভক্ত। সামনেই মুক্তি পেতে চলেছে সালমানের নতুন ছবি সুলতান। সেখানে মুষ্ঠিযোদ্ধার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে সালমানকে।

কিন্তু সালমানকে এই পদে নিয়োগ করায় নিজেদের হতাশা লোকাতে পারেননি যোগেশ্বর দত্ত, মিলখা সিং ও ধনরাজ পিল্লাইয়ের মতো ভারতের সাবেক থেকে বর্তমান খেলোয়াড়রা। তাদের মতে, কোনও ক্রীড়াব্যক্তিত্বকে এই জায়গায় নিয়োগ করলে ভালো হত। যোগেশ্বর তো স্পষ্ট বলেই দিলেন, ‘দেশের পদক প্রয়োজন, স্পনসর প্রয়োজন নয়।’ আবার রিও অলিম্পিকে সালমানকে এই পদে সমর্থন করেছেন বক্সার মেরি কম বা ভারতের জাতীয় হকি দলের অধিনায়ক সর্দার সিংরা। তাই এই পদ নিয়ে ক্রীড়ামহলে শুরু হয়ে গিয়েছে চরম জল্পনা।

গতকাল ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন মহিলা বক্সার মেরি কম, হকি দলের অধিনায়ক সর্দার সিং, শুটার অপূর্ব চান্দেলা-সহ আরও ক্রীড়াবিদদের উপস্থিতিতে সালমান খানকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ঘোষণা করেন। লন্ডন অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ় মেডেলিস্ট যোগেশ্বর দত্ত টুইট করে বলেন, ‘এ দেশে প্রত্যেকের ছবি প্রচার করার অধিকার আছে। কিন্তু, অলিম্পিক ছবি প্রচার করার জায়গা হতে পারে না। কেউ কি বলতে পারবেন, একজন শুভেচ্ছাদূতের -র ভূমিকা কী? মানুষকে বোকা বানিয়ে কী লাভ?’

সালমান খানের মতো তারকাকে কটাক্ষ করে যোগেশ্বর বলেন, ‘কঠিন সময়ে দেশকে উদ্ধার করেছেন পিটি ঊষা বা মিলখা সিংয়ের মতো ক্রীড়াবিদরা। এই অ্যাম্বাসাডর দেশের খেলার জন্য কী করেছেন? একজন অ্যাম্বাসাডরকে নিয়োগ করার পরে কী হবে? এরকম নাটক যদি করতেই হয়, তবে একজন ক্রীড়াবিদকে নিয়োগ করাটাই তো ভালো ছিল।’

সাবেক হকি তারকা ধনরাজ পিল্লাই বলেছেন, ‘সালমান খান বলিউডের অন্যতম সেরা মুখ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু মিলখা সিং, পি টি ঊষা, অবিনব বিন্দ্রার মতো ক্রীড়াবিদরা দেশে ছিল। তাদের মধ্যে থেকে কাউকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা যেত।’‌

ক্ষোভ জানিয়েছেন মিলখা সিংও। তিনি জানান, সালমানের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনও ক্ষোভ নেই। তবে ওই জায়গায় একজন ক্রীড়াবিদ বেশি মানানসই হত। তিনি বলেন, ‘আমি ক্রীড়াবিদ হিসেবে মনে করি, শুটিং, অ্যাথলেট, ভলিবল বা অন্য যে কোনও খেলার ক্রীড়াব্যক্তিত্বের উচিত এই পদ পাওয়ার। যিনি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পিটি ঊষা, রাজ্যবর্ধন রাঠোর, অজিত পালের মতো অনেক ক্রীড়াবিদ পেয়েছে এই দেশ। এদের মধ্যেই যে কেউ শুভেচ্ছাদূত হতে পারতেন। বলিউড থেকে এই পদের জন্য লোক বাছার কি প্রয়োজন ছিল?’ -ইনাডু ইন্ডিয়া
২৫ এপ্রিল ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে