বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের বহু চর্চিত প্রেমিক জুটি ছিলেন সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রাই। তাদের প্রেম গোপন বলে কিছু ছিল না। সবার মুখে মুখেই ছিলো তাদের রসায়ন। এখন এসব কিছু স্মৃতীর পাতায় অতীত হয়ে আছে। ঐশ্বরিয়া এখন অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করে নিজের নামের পাশে যুক্ত করেছেন ‘বচ্চন’ শব্দটি। আর সালমান খান এখনও রয়ে গেছেন ব্যাচেলর।
এদিকে প্রেম নেই, তাতে কি? একবার সম্পর্ক হলে, ভালোবাসা হলে তা কি একেবারেই মুছে দেয়া যায়? কোথাও না কোথাও প্রেমিকটির জন্য একটা সুক্ষ্ম টান মনের গভীরে রয়েই যায়। আর তাই হয় তো সালমানের জন্যও তেমন একটা টান এখনও রয়েছে ঐশ্বরিয়ার মনে। আর তা ধরা পড়লো ঐশ্বরিয়ার রাইয়ের বক্তব্যেই।
যেমন আসন্ন রিও অলিম্পিক গেমসে ভারতীয় ক্রীড়াদলের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে সালমানের নিয়োগ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে আজ মুখ খুলেছেন ঐশ্বরিয়া রাই। এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সালমানের নাম না করেই তিনি বলেন, ‘শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়ার উন্নতির জন্য যদি কেউ কাজ করেন, তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করতেই পারেন। তাকে সেই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।’
সালমান এবং ঐশ্বরিয়ার প্রেম এবং পরবর্তী সময়ে দু’জনের তিক্ততা বলিউডে তো বটেই, তাদের অসংখ্য ভক্তের কাছে এখনও চর্চার বিষয়। প্রায় দেড় দশক আগে দু’জনের সম্পর্কচ্ছেদের পরে সলমনের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ করেছিলেন ঐশ্বরিয়া।
১৯৯৮ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীনই ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল দু’জনের। সালমানের আগ্রহেই ওই ছবিতে ঐশ্বরিয়াকে নিয়েছিলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালী। আর ২০০২ সালে ঐশ্বরিয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সালমানের সঙ্গে আমার আর সম্পর্ক নেই। কিন্তু ও তা বুঝতে চাইছে না। এখনও আমাকে বিরক্ত করে।’
বিচ্ছেদের পরে সালমান সংবাদমাধ্যমের সামনে নীরব থাকলেও পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি ঐশ্বরিয়ার তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দাবি করেছেন, ঐশ্বরিয়াকে তিনি কোনও দিনই মারধর করেননি। এমনকী, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আরেক প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফকে ‘প্রয়োজন নেই’ বলে মন্তব্য করলেও ঐশ্বরিয়া সম্পর্কে চটুল বা কটূ কোনও কথাই সালমানকে প্রকাশ্যে বলতে শোনা যায়নি। বরং ওই সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়ার প্রসঙ্গ ওঠায় প্রশ্নকর্তাকে থামিয়ে দিয়েছিলেন সালমান।
বিচ্ছেদের পরে কখনও কখনও মুখোমুখি হলেও সালমান ও ঐশ্বরিয়া পরস্পরকে সন্তর্পণে এড়িয়ে গিয়েছেন। যেমন, বছর চারেক আগে সচিন টেন্ডুলকরের জন্য মুকেশ অম্বানীর দেওয়া এক পার্টিতে দেখা গিয়েছিল দু’জনকে। একই সারিতে বসেছিলেন সালমান, ঐশ্বরিয়া। ছিলেন ঐশ্বরিয়ার স্বামী অভিষেক বচ্চনও। প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকাকে সেদিন পরস্পরের দিকে তাকাতেও দেখা যায়নি।
এই প্রেক্ষিতে ঐশ্বরিয়ার আজকের মন্তব্যে ‘সল্লু-অ্যাশ’ ভক্তদের অনেকের মনে ভেসে উঠছে ‘হাম দিল দে চুকে সনমে’র দৃশ্যাবলি। যদিও ছবির পরদাতেও আর কখনও তার পুনরাববৃত্তি ঘটবে, এমন দুরাশা কেউই করছেন না!
পানামা নথি বিতর্কেও আজ প্রথমবার মুখ খুলেছেন ঐশ্বরিয়া। বলেছেন, ‘এ বিষয়ে ভারত সরকারের জ্ঞাতব্য তথ্য আমার এবং আমার পরিবারের তরফে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
২৭ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন