বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের হৃত্বিক রোশ আর কঙ্গনার বাকযুদ্ধ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই তাদের এই বাকযুদ্ধে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সব রসদ। এবার তাদের এই আলোচনায় নতুন করে রসদ যুগিয়েছেন কঙ্গনার প্রাক্তন প্রেমিক অধ্যায়ান সুমন। তিনি ছোটপর্দার পরিচিত মুখ শেখর সুমনের ছেলে।
কঙ্গনার প্রাক্তন প্রেমিক অধ্যায়ান সুমন অবশ্য কঙ্গনার বিপক্ষে গিয়ে পক্ষ নিয়েছেন হৃত্বিক রোশনের। আর তিনি যা বলেছেন তা শোনে এখন অনেকের চোখই চরকগাছ। অবশ্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগে কখনোই কেউ শোনেনি। তাই বিষয়টি নিয়ে দারুণ আলোচনাই হচ্ছে বলিউডে।
অধ্যায়ান সুমন দাবি করে বলেছেন, কঙ্গনাকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন, তারা সকলেই জানেন অভিনেত্রী বাস্তবে একজন ‘সাইকো’। অধ্যায়ান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন জীবনের সবথেকে খারাপ সময় তিনি কাটিয়েছেন কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্কে থাকার সময়। কঙ্গনার জন্য নিজের কেরিয়ারের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেছে তার। ওই বিষাক্ত সম্পর্কের বিভীষিকা থেকে বেরিয়ে আসতে পাঁচ বছর লেগেছিল তার, অকপটে জানালেন অধ্যায়ন। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এসব কোনও কিছুই তিনি সস্তা প্রচারের আশায় বলছেন না। তিনি এ জীবনে আর কখনও কঙ্গনার সঙ্গে দেখা হোক, চান না।
অধ্যায়ানের দাবি কঙ্গনা শুধু তাকে ব্যবহারই করেননি, তাকে মানসিকভাবেও ব্যবহার করেছেন, ব্ল্যাকমেল করেছেন। তার বিভিন্ন যোগাযোগকেও নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন অভিনেত্রী। শুধু মানসিক নির্যাতন নয়, সময়-অসময় গায়েও হাত তুলেছেন কঙ্গনা।
অধ্যায়ান বলেছেন, শুধু আমাকেই নয়, আমার বাবাকেও বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন কঙ্গনা। তারপরই তার জন্যে কী কী করেছেন এগুলো মনে করিয়ে দিয়ে নিজের জালে ফাঁসিয়ে নিতেন অভিনেত্রী, দাবি অধ্যায়ানের। অধ্যায়ানের কেরিয়ারটা সম্পূর্ণ শেষ করে দিতে এবং তাকে তার বাবা-মায়ের থেকে পুরোপুরি সরিয়ে আনতে কালা জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিকেরও সাহায্য নিতেন কঙ্গনা।
অধ্যায়ান দাবী করেন, কোনও এক পণ্ডিতের কাছে পরে অধ্যায়ানের মা তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনিই বলেন, কঙ্গনা তার খাবারে নিজের অপরিশোধিত রক্তও মিশিয়ে দেন। একসময় তাকে অভিনেত্রী শশ্মানে যেতেও বাধ্য করেছিলেন তুকতাক করার জন্যে।
শোনা যায় কোনও চ্যানেলে-র শোয়ে কঙ্গনাকে প্রকাশ্যে এক পণ্ডিত পিশাচ বলেও গালি দেন, যদিও সেসময় অভিনেত্রী তা হেসে উড়িয়ে দেন। শোনা যায় আদিত্য পাঞ্চলিও শেখর সুমনকে ফোন করে তার ছেলেকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন।
অধ্যায়ানের দাবি এভাবেই তিনি একদিন জানতে পারেন কঙ্গনার হৃত্বিকের প্রতি দুর্বলতার কথা। তার দাবি, তিনি কখনও প্রকাশ্যে হৃত্বিককে কঙ্গনার প্রতি সেভাবে দুর্বল হতে দেখেননি।
২৮ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন