সোমবার, ০২ মে, ২০১৬, ১১:০৬:১৮

সিনেমায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নায়কদের বাহবা এনে দিচ্ছেন যারা

সিনেমায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নায়কদের বাহবা এনে দিচ্ছেন যারা

বিনোদন ডেস্ক : ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্য দেখতে কার না ভালো লাগে? অ্যাকশন দৃশ্য দেখি আর উত্তেজিত হই। সিনেমা হলে বসে নায়কদের অ্যাকশন দেখি আর হাত তালিসহ সিটি বাজিয়ে উল্লাসও প্রকাশ করি।

উড়ে উড়ে এসে নায়করা ভিলেনকে পেটাচ্ছেন! ইস! মনে মনে নায়কের স্থলে আমরা অনেকেই অনেককে ভাবতে শুরু করি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, অমন ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে কি নায়করাই অংশ নিচ্ছেন কিনা?

না। নায়করা অমন দৃশ্যে অংশ নিচ্ছেন না। তাদের স্থলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্টান্টম্যানরা অমন দৃশ্যে অংশ নিচ্ছেন। যা পর্দায় আমরা দেখতে পাই নায়কদের। বাহবা কুড়িয়ে নেন নায়করা। জীবনের ঝুঁকি নেওয়া এই স্টান্টম্যানদের কিন্তু অনেকেই আমরা চিনি না। তারা থাকেন পর্দার আড়ালে।

সিনেমাতে নায়ক মানে একাই একশো। তার বিপরীতে যতজনই থাকুক না কেন নায়কের সাথে পেরে ওঠে না কেউই। শুধু নায়ক না, ভিলেনরাও কখনো কখনো কুপোকাত করে নায়ককে। তাদেরও প্রচুর শক্তি। দশতলার উপর থেকে লাফ দিয়েও বেঁচে থাকেন নায়ক আর ভিলেনরা। কিন্তু সত্যি সত্যিই কি পর্দা কাঁপানো এই নায়ক আর ভিলেনরাই সেই লাফটা দেন?

না। তাদের ডামি হয়ে লাফ দেন স্ট্যান্টম্যানরা। বর্তমানে বাংলাদেশ এফডিসিতে স্টান্টম্যান আছেন সর্বমোট ৭জন। এই সাতজনের বাইরেও বেশ কিছু স্টান্টম্যান আছেন যারা নিয়মিত কাজ করেন না। ঘুরেফিরে সাতজনকেই স্টান্টম্যান হিসেবে কাজ করতে দেখা যায়।

এফডিসি সূত্রে জানা যায়, আরমান ফাইটিং গ্রুপে স্টান্টম্যান আছেন ২জন, আপন-ভাতিজা ভাইটিং গ্রুপে আছেন-২জন সালাম ফা্ইটিং গ্রুপে-২ জন, আর আছেন মিঠু। এই সাতজন নিয়েই চলছে এফডিসির ডামি দৃশ্যের অভিনয়।

মূলত স্টান্টম্যানরাই একজন নায়ককে করে তোলে সত্যিকারের নায়ক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা স্টান্টম্যান এর ভূমিকায় অভিনয় করে। আর বাহবা কুড়িয়ে নেন নায়করা। জীবনের ঝুঁকি নেওয়া এই স্টান্টম্যানরা কি পান বিনিময়ে?

স্টান্টম্যানদের পারিশ্রমিক খুব বেশি নয়। বর্তমানে কোনো ছবির ফাইট দৃশ্যে অভিনয় করলে একজন ফাইটার পান ১৬০০ টাকা আর ডামি হিসেবে যখন স্টান্টম্যানরা কাজ করেন তখন ১৬০০ টাকার সাথে যোগ হয় অতিরিক্ত ২০০০ টাকা। সারাদিনে ৩২০০ টাকা পান এই স্টান্টম্যানরা। আবার প্রতিদিন কিন্তু তাদের কাজ থাকে না। ফলে টাকার পরিমাণটা খুবই সামান্য। আবার বিপদও আছে। ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে পঙ্গুত্ববরণ করা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

জানা গেছে, কোনো অঘটন ঘটলে পরিচালক প্রযোজকরা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও মূল দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই রাখতে হয়। এত ঝুঁকি এত কষ্ট করেও কেন স্টান্টম্যান হিসেবে কাজ করেন জানতে চাইলে মিঠু বলেন, চলচ্চিত্রের প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা থেকেই এই কাজটা করি। আর এটাতো এখন অামাদের ব্যবসা। ব্যবসা করলে লাভ ক্ষতি থাকবেই।
২ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে