কিনোদন ডেস্ক : বর্তমানে সময়ে সব কিছুই খুব কাটছাট হয়ে গেছে। অর্থাৎ এখন আর আগের মত কেউ মাথা খাটায় না। কপি পেষ্টের উপরই অনেকে নির্ভর। সেটা হোক সংবাদ মাধ্যম কিংবা সিনেমা। সর্বত্রই এখন চলছে কপি-পেস্ট।
দূর্ণাম রয়েছে বাংলাদেশের ছবিতেই নকল করা হয়। নকল ছাড়া বাঙালি কিছুই পারে না। তাই এ নিয়ে দারুণ সব নিন্দা হয়ে থাকে। তবে এটাই কি সত্যি যে, ঢাকাই সিনেমাতেই শুধু কপি-পেষ্ট তথা নকল হয়? হলিউড ছবিগুলো থেকে কি বলিউড ছবিগুলো কপি করে না?
হ্যাঁ করে। কপি করার দৌড়ে বলিউড হচ্ছে নাম্বার ওয়ান। ভারতে এই কপি-পেস্ট খেলার মূল মাঠটি হল বলিউড। গান, চিত্রনাট্য ইত্যাদি দিবারাত্র ঝাপিতং হয়ে চলেছে আরব সাগরের তীরে। এ নিয়ে কেউ বিশেষ উচ্চবাচ্য করেন না। কারণ, মন মনে সকলেই জানেন— ‘এমনটা তো হয়েই থাকে’।
তবে ঢাকাই সিনেমার সাথে তাদের পার্থক্যটা হচ্ছে বলিউড নকল করলেও তা খুব নিখুঁতভাবে করেন। আর ঢাকাই সিনেমা নকল করতে গিয়ে একেবারেই লেজে গোবরে করে ফেলেন। যার ফলে দর্শকদের এগুলো দৃষ্টিকটু লাগে। হয় নানা সমালোচনাও।
তবে বলিউডের নকলগুলো আম-পাবলিক একদমই ধরতে পারেন না। এমনই কিছু ছবি আছে বলিউডে যা হলিউড ছবি থেকে কপি করেছেন। তবে মজার বিষয় হল এই ছবিগুলো বলিউড ইতিহাসে খুবই জনপ্রিয় ও ব্যবসা সফল ছবি। তাহলে আসুন তেমন কিছু ছবির কথা জেনে নিই।
১। বলিউড এবং দক্ষিণে বার বার ‘রিমেক’ হয়েছে ‘গডফাদার’ (১৯৭২)। মণিরত্নমের ‘ভেলু নায়কন’ (১৯৮৭), ফিরোজ খানের ‘দয়াবান’ (১৯৮৮) থেকে শুরু করে রামগোপাল বর্মার ‘সরকার’ ( ২০০৫)— সর্বত্র এই মার্লন ব্র্যান্ডো-আল পাচিনো-অভিনীত ক্ল্যাসিকের ছায়া। কখনও আংশিক, কখনও হুবহু।
২। ১৯৩৪-এর হলিউড ব্লকবাস্টার ‘ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট’ (১৯৩৪)। সর্বকালের সেরা রোম্যান্টিক ছবিগুলির একটি বলে স্বীকৃত। তার থেকে সিন বাই সিন ‘কপি’ হয় মহেশ ভট্টের হাতে ১৯৯১ সালে। আমির খান-পূজা ভট্ট অভিনীত ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহিঁ’ সম্পর্কে নীরবতা পালন করাই শ্রেয়।
৩। ক্রিস কলম্বাসের ১৯৯৩-এর ছবি ‘মিসেস ডাউটফায়ার’ আর কমল হাসানের ‘চাচি ৪২০’। কিন্তু রসিকজনের মত, কমল হলিউডের ছবিটির ভারতীয়করণ ঘটিয়েছিলেন। এবং সেই অ্যাডাপশন এতটাই সূক্ষ্ণ যে, অনেক সময়ে ‘চাচি ৪২০’ আসলটিকেও টেক্কা দেয়।
৪। ক্রিস্টোফার নোলানের ২০০০-এর থ্রিলার ‘মেমেন্টো’ আর এ আর মুরুগাডোস-এর ২০০৮-এর ছবি ‘গাজনি’। সমালোচকরা বার বার বলেছেন, ‘কপি’ করতে গিয়ে এইসান ‘ছড়ানো’ ইতিহাসে খুব কমই ঘটেছে। ‘মেমেন্টো’-র ধার ‘গজিনি’-তে নেই। নেই চিত্রনাট্যের সূক্ষ্ণতাও।
৫। তবে সব কিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল সুজয় ঘোষ পরিচালিত, বিদ্যা বালন অভিনীত ‘কহানি’ (২০১২)। ছবির ক্লাইম্যাক্স-দৃশ্যে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে ডি জে কারুসো পরিচালিত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অভিনীত ২০০৪-এর ছবি ‘টেকিং লাইভস’।
১৩ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন