বিনোদন নিউজ : আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এই দিনে বাবা-মাকে ভীষণ মনে পরছে কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের।
বাবা দিবস নিয়ে আসিফ লিখেছেন, আম্মাকে দেয়ার মত সময় আব্বার ছিলোনা,ব্যস্ততা থেকে মৃত্যুর স্বাদ নেয়াই ছিলো আব্বার মূল দায়িত্ব। ছেচল্লিশ বছরের সংসার জীবনে তাদের কখনোই সুখী মনে হয়নি। আমরা সাত ভাই বোন বড় হয়েছি কুরুক্ষেত্রের ময়দানে।
সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব পালনে তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিলোনা, আব্বাকে ভিলেনই মনে হতো সবসময়, নিজে বাবা হয়ে বাবার মর্যাদা বুঝেছি,ততদিনে আব্বা আল্লাহর প্রিয় হয়ে গেছেন।
আসিফ আকবর লিখেছেন, বাবা-মা আগেই মারা গেছেন। এখন এই বুকে শুধু চাপা কাঁন্নার রোল।
আমার ছোট পরিবার , দুটো ছেলে তার মাকে কতটুকু সময় দেয় জানিনা, তবে আমি নিশ্চিত তারা আমার মতই ভুল করছে। আগে পরিবারে বাচ্চা কাচ্চা থাকতো আট দশজন, এখন ছোট হয়ে এসেছে, মায়াও বেড়েছে, সন্তানরা বড় হচ্ছে বাবা মার প্রশ্রয়েই। আমি সাধারণত বিকেল চারটায় বাসা থেকে বের হই,তারপর ঘড়ির কাটা বন্ধ। যদিও ইদানীং চেষ্টা করছি বাসায় দ্রুত ফিরে আসার, আজই বাসায় এসে ফজরের আজান শুনেছি ।
পৃথিবীর সবচেয়ে উর্বরতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে পরিবার, নানা ব্যস্ততার অজুহাতে আম্মাকে সময় দেয়া হয়নি , তিনি হয়তো কেঁদেছেন নিভৃতে, আমি হয়তো মত্ত ছিলাম উল্লাসে, আম্মার কথা ভাবার সময় হয়নি ।। এখন ভাবি, কিন্তু তিনি নেই,চাপা কান্নার রোল আমার বুকেও ওঠে, তাতে লাভ কি !!! । রণ রুদ্র’র উচিত তাদের মাকে আরো সময় দেয়া সজ্ঞানে,নইলে আমার মতই পস্তাতে হবে ।
আর বাবা … টাইম মেশিনের মত জীবন চলে যায় পরিবারের সন্তুষ্টি বিধানে !!! আব্বার মৃত্যুর সময় আমরা সবাই সামনে ছিলাম,আম্মা শুধু চিৎকার করে বললেন – আমার পাগলটা চলে গেল … আব্বা বেঁচে থাকতে এই ধরনের শব্দ শুনলে অবশ্যই পছন্দ করতেন,আমিও একজন বাবা, পরিবারের সন্তুষ্টি বিধানেই এক জীবন কাটাতে চাই । আজ বিশ্ব পরিবার দিবস, পরিবারই হোক আমাদের বেঁচে থাকার সর্বশেষ অবলম্বন ।
১৫ মে ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর