বিনোদন ডেস্ক : ছোটবেলা থেকে দেখে আসছেন হিন্দি ছবি। প্রায় একই ছবির কিছু দৃশ্য দেখে দেখে আপনি বড্ড ক্লান্ত। এমনটা অনেকবারই হয়েছে, ছবি শুরু হওয়ার পনের মিনিটের মধ্যে আপনি বুঝতে পেরে গিয়েছেন ছবির শেষটা কি হবে।
পরিস্থিতি যখন এমন, তখন বন্ধুদের আড্ডায় জানান, যে কোনও হিন্দি ছবির ফার্স্ট ফিফটিন মিনিটস দেখে আপনি বলে দিতে পারেন এই ছবি চলবে কি না। বাজারে হয়তো সিনে-জ্যোতিষী হিসেবে আপনার ছোটখাটো খ্যাতিও রয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন এর মধ্যে তেমন কোনও কৃতিত্ব নেই।
কারণ একটাই— বাণিজ্য নষ্ট হওয়ার ভয়। কিন্তু এতে যে আখেরে লাড্ডু ফলেছে, তা কি সিনেমাওয়ালারা জানেন? সে যাই হোক। তাদের আখের তারা ভাববেন। আমরা বরং হদিশ নিই, কী কী দেখে চোখ ক্লান্ত হচ্ছেন আপনি। তেমন ১০টি ব্যাপার তুলে ধরলাম। এবার মিলিয়ে নিন।
১। নায়ক সৎ পুলিশ অফিসার। তাঁর স্ত্রী বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মারা যান ভিলেনের অবদানে।
২। নায়কের বোন থাকলে সে ভিলেনধারা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হবেই।
৩। হরর ছবিতে ভূতের বনাশ নেই। সে ছবির শেষে একবার মুখ দেখিয়ে যায়। পামসে ব্রাদার্সের ছবিতে সে নিকেশ হত। বিক্রম ভট্টের ছবিতে হয় না।
৪। ভিলেনের চামচেরা একটা গুলিতেই মৃ্ত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ভিলেনকে মারতে জিভ বেরিয়ে যায়।
৫। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নায়ক প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়েন নায়িকার।
৬। ভিলেনকে তাড়া করার সময়ে নায়ক সব সময়ে রাস্তায় একটা খালি গাড়ি পেয়ে যান। আর তার চাবিটাও লাগানোই থাকে।
৭। স্পোর্টস মুভির ক্লাইম্যাক্সে নায়ক বা তার দল সব সময়ে হারতে হারতে জিতে যায়।
৮। আজও হিন্দি ছবিতে নায়ক-ভিলেন মারামারি শেষ হওয়ার পরে পুলিশ এসে পৌঁছয়।
৯। বেশিরভাগ ছবিতেই নায়কের পেশার কোনও ডিটেল থাকে না (পুলিশ ছাড়া)। অথচ তিনি দেদার বড়লোক।
১০। বেশিরভাগ পুলিশ অফিসারই হয় অকর্মণ্য, না হয় অসৎ।
১৬ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন