রিমন মাহফুজ , কান ( ফ্রান্স) থেকে : কান চলচ্চিত্র উৎসবে রোববার (১৫ মে) প্রতিযোগিতা বিভাগে দেখানো হয়েছে মারিয়ন অভিনীত 'ফ্রম দ্য ল্যান্ড অব দ্য মুন'। গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়ের ও সাল দুবুসিতে এর প্রদর্শনী হয়েছে সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা)।
ছবিটি নিয়ে কথা বলতে সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাজির হন মারিয়ন। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ফরাসি সৌরভ নিয়ে হাজির হন মারিয়ন কতিয়াঁ।
দুধে আলতা গা আরও শুভ্র মনে হচ্ছে তাকে। গোলাপি লিপস্টিকে রাঙানো ঠোঁট, পরেছেন কালো রঙের লম্বা শার্ট।
সংবাদ সম্মেলনে জানা গেলো, 'ফ্রম দ্য ল্যান্ড অব দ্য মুন'-এ মারিয়নকে পেতে অপেক্ষা করেছেন পরিচালক নিকোল। কেনো তাকেই দরকার ছিলো তা বুঝতে ছবিটি দেখতে হবে।
ছবিতে দক্ষিণ ফ্রান্সের ছোট্ট একটি গ্রামের মেয়ে গ্যাব্রিয়েলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারিয়ন। মেয়েটি আবেগপ্রবণ ও মুক্তমনা। মা-বাবা তাকে স্প্যানিশ খামার কর্মজীবী হোসের সঙ্গে বিয়ে দেন। কিন্তু সংসারে নিজেকে কয়েদির মতো মনে হয় তার। বৈবাহিক জীবনে প্রেমহীন থাকা গ্যাব্রিয়েলা তরুণ লেফট্যানেন্টের প্রেমে পড়ে যান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্রেক্ষাপটে ইতালির মিলেনা আগুসের উপন্যাস অবলম্বনে দুই ঘণ্টা ব্যাপ্তির ছবিটি পরিচালনা করেছেন ফরাসি অভিনেত্রী-নির্মাতা নিকোল গার্সিয়া। এ নিয়ে পরিচালক ও অভিনেত্রী হিসেবে সাতবার কানের প্রতিযোগিতায় স্থান পেলো তার ছবি। ২০০০ সালে তিনি ছিলেন বিচারক প্যানেলে। দুই বছর আগে পালন করেছেন ক্যামেরা দ'র বিভাগের বিচারকদের সভাপতির দায়িত্ব।
চরিত্রের জন্য কেমন প্রস্তুতি নেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মারিয়ন বললেন, 'অভিনয়টা আসলে প্রেমে পড়ার মতো। প্রেমে পড়তে হয়, বিভিন্ন মানুষের চলা-বলাও পর্যবেক্ষণ করতে হয়।'
ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইনসেপশন’ (২০১০) ও ‘দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস’ (২০১২), উডি অ্যালেনের ‘মিডনাইট ইন প্যারিস’ (২০১১), স্টিভেন সোডারবার্গের ‘কন্টাজিওন’ (২০১১), টিম বার্টনের ‘বিগ ফিশ’ (২০০৩), রিডলি স্কটের ‘অ্যা গুড ইয়ার’ (২০০৬) ছবিগুলোর সুবাদে হলিউডে ফরাসি অভিনেত্রীদের বড় বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছেন তিনি।
১৬মে,২০১৬এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস