বিনোদন ডেস্ক : চমৎকার উপত্যকা। দূরে নীল পাহাড় উকি দিচ্ছে, পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি নদী। নায়ক-নায়িকার প্রণয়দৃশ্য। নাচে-গানে আকুল অবস্থা। গান মুখড়া থেকে অন্তরায় প্রবেশ করতেই বদলে গেল নায়ক-নায়িকার জামা কাপড়। বলিউড ফিল্মের ভেতরে এমন দৃশ্য বদলানো দর্শকের কাছে নতুন কিছু নয়। এমন বদলের কারণে বিন্দুমাত্র বিচলিত হন না তারা। কারণ তারা জানেন, এমনটাই হওয়ার কথা। না হলেই অন্য সমস্যা।
তবে এই পরিবর্তনের কারণ একটু তলিয়ে দেখলেই টের পাওয়া যায়, ঠিক কী পরিমাণ পোশাক এক একটা সিনেমায় ব্যবহৃত হয়। মুভি বাফ-রা বলবেন, এগুলোই তো সমাজে ফ্যাশন ট্রেন্ড সেট করে। ছবির ভালমন্দের সঙ্গে জড়িয়ে যায় গণরুচি নির্ধারণের প্রসঙ্গও। এইখানেই বলিউড হলিউডকে টেক্কা দেয়। ‘শোলে শার্ট’, ‘ববি ফ্রক’, ‘সাগর স্কার্ট’— এসব শব্দ অনেকেরই স্মৃতিরেখায় টান দেবে। সেই জামা-কাপড় অভিনেতারা পরে অভিনয় করার পর কোথায় যায়? কী হয় এই বিপুল পরিমাণ পরিধেয়র?
বলিউড-বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন—
• ছবির শ্যুটিং শেষ হলে প্রোডাকশন হাউস কস্টিউমগুলিকে বাক্সবন্দি করে। পরে অন্য কোনো প্রোডাকশনে তা কাজে লাগায়।
• সব কস্টিউম সমান নয়। কিছু পোশাক দিব্য চলে দৈনন্দিনে। কিছু একেবারে চিত্রনাট্যের আবদার মেনেই বানানো। কিছু আবার এতটাই উৎকট যে, তাদের বাক্সবন্দি হয়েই থেকে যাওয়া ছাড়া গতি থাকে না।
• কোনো কোনো কস্টিউম অভিনেতারা পছন্দ করে ফেলেন। তিনি সেটা কিনে নেন। কখনো আবার ডিজাইনার নিজে তার ডিজাইন করা পোশাকটিই নিয়ে নেন। ছবি হিট হলে ডিজাইনার সেই পোশাককে তার বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করেন।
• টিভি সিরিয়ালের ক্ষেত্রে শাড়ি-লেহেঙ্গা ইত্যাদি রিসাইক্লড হতেই থাকে। সাস-বহু সিরিয়ালে বার বার ব্যবহৃত হয় একই পোশাক।
• বেশ কিছু পোশাক নিলাম হয়। স্যুভেনির হিসেবে তার সংগ্রহ-মূল্য রয়েছে। নিলাম থেকে প্রাপ্ত আয় প্রায়শই দান করা হয়।
১৮ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই