রিমন মাহফুজ , কান ( ফ্রান্স) থেকে : প্রেম, বাগদান এবং বিচ্ছেদ এর পরও তারা ছিলেন স্বাভাবিক। শুক্রবার শার্লিজ থেরন ও শন পেনকে কানে 'দ্য লাস্ট ফেস' এর সংবাদ সম্মেলনে এমনই দেখা গেছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হাভিয়ার বারদেম, অ্যাডেল এক্সারশোপুলোস, জ্যঁ রেনো ও জারেড হ্যারিস।
শন পেন 'দ্য লাস্ট ফেস' পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার আগেই এতে যুক্ত হন হাভিয়ার বারদেম। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, 'এর চিত্রনাট্য পড়েছিলাম ২০০০ সালে। এই প্রেমের গল্পটা অতুলনীয়।'
'দ্য লাস্ট ফেস' ছবির মাধ্যমে ক্যামেরার পেছনে ফিরেছেন শন পেন। ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিট ব্যাপ্তির ছবিটির গল্প দুর্গত এলাকার চিকিৎসক মিগুয়েল লিয়ন ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার চিকিৎসক রেন পিটারসেনের প্রেমকে ঘিরে। যুদ্ধবিধ্বস্ত লাইবেরিয়ায় একই পেশাকে ভালোবাসা মিগুয়েল ও রেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পথ খুঁজে নিতে চেষ্টা করে।
শার্লিজ জানালেন, ছবিটিতে আফ্রিকার অপেশাদার অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন হলিউড তারকারা। এক্সট্রা শিল্পী ছিলেন মোট পাঁচ হাজার।
অভিনেতা শন পেনের পরিচালক হিসেবে আবির্ভাব ১৯৯১ সালে 'দ্য ইন্ডিয়ান রানার'-এর মাধ্যমে। এটি নির্বাচিত হয়েছিলো কানের ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে। ২০০১ সালে প্রতিযোগিতা বিভাগে ছিলো তার 'দ্য প্লেজ'।
অভিনয় জীবনে লুই মাল্লে থেকে ডেনিস হপার, ক্লিন্ট ইস্টউড থেকে আলেহান্দ্রো গঞ্জালেজ ইনারিতুর মতো বিখ্যাত নির্মাতাদের পরিচালনায় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে শন পেনের। পরিচালনায় সেগুলোই কাজে এসেছে তার। অভিনয় প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ৫৫ বছর বয়সী এই মার্কিন তারকা বলেন, 'এটি মূলত ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি। দৈনন্দিন জীবনযাপন থেকেই অভিনয়শিল্পীরা এটি রপ্ত করেন।'
২০০৮ সালে প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের সভাপতি ছিলেন শন পেন। এবারের আসরে তিনিই লড়ছেন স্বর্ণপামের জন্য।
২১ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস