মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬, ০৭:০৭:৪৯

মাহিকে বিয়ের কাবিননামা আদালতে দাখিল করলেন শাওন

মাহিকে বিয়ের কাবিননামা আদালতে দাখিল করলেন শাওন

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহী গত ২২ মে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন। মিডিয়া এ নিয়ে অনেক সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ কথা আর কারো জানার বাকি নেই। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো অন্য জায়গায়। মাহির নাকি আগে বিয়ে হয়েছে এই নিয়ে কয়েকটি মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে মাহি এই নিয়ে মামলার হুমকি দয়েছেন।

যেই ছেলের সাথে মাহিকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় তাকে নিয়ে মাহি গত শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন। তার পরই শাওনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শাওনের বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি গুলশানের একজন ব্যবসায়ী। শাওন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ডিবি দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে শাওনের কম্পিউটার জব্দ করেছে।

বিয়ের সত্যতা নিশ্চিৎ করার জন্য অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির কথিত স্বামী শাহরিয়ার শাওন আদালতে বিয়ের কাবিননামা দাখিল করেছেন। আজ ৩১ মে মঙ্গলবার বিকেলে মহানগর হাকিমের আদালতে কাবিননামা পেশ করেন তিনি।

গত রবিবার শাওনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে শাওন জানিয়েছেন মাহির সঙ্গে তার পরিচয় স্কুলজীবন থেকে। তারা উত্তরায় একই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। মাহির সঙ্গে তার প্রেম ছিল বলেও দাবি করেছেন শাওন।

রিমান্ডে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে শাওন দাবি করেছেন, ২০১৫ সালে বাড্ডার কাজী অফিসে বিয়ে করেন শাওন ও মাহি। উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একই ক্লাসে পড়তেন তারা। তখন থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ডিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, শাওনের কম্পিউটার থেকে মাহি ও শাওনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আর জানান, মাহি-শাওনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে আপলোড করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন শাওন। তার দাবি, স্ত্রী হিসাবে মাহির অনুমতি নিয়েই এসব ছবি আপলোড করা হয়েছে।

এদিকে মাহির দাবি, তার অনুমতি না নিয়েই ওইসব ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। এতে তার সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই তিনি শনিবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা দায়েরের পর শনিবার রাতেই ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম দক্ষিণ বাড্ডার ক/১৩ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শাওনকে গ্রেফতার করে। রোববার দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ডিবি।

শাওন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি একজন ব্যবসায়ী।

শাওন ডিবিকে জানায়, কলেজ জীবন থেকেই মডেল ও অভিনেত্রী হওয়ার শখ ছিলো মাহির। চলচ্চিত্র নির্মাণকারী একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার।

তার দাবি, চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরুর পরও তাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। মাহির সিনেমার শ্যুটিং স্পটেও যেতেন শাওন। সিনেমার প্রযোজক থেকে শুরু করে পরিচালকরা জানতেন মাহির স্বামী শাওন।

শাওন জানান, গত বছর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। সম্প্রতি সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ অপুর সঙ্গে মাহির তৃতীয় বিয়ে হয়। এরপর থেকেই সব প্রেক্ষাপট দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যায়।

জানা গেছে, মাহি প্রথমবার বিয়ে করেছেন চলচ্চিত্রে আসার আগে ২০১০ সালে। পাত্রের নাম পলাশ। এক বছর পর ডিভোর্স হয়ে গেলে ২০১৫ সালে শাওনকে বিয়ে করেন এ অভিনেত্রী।

সর্বশেষ ২৪ মে গোপনে ব্যবসায়ী অপুকে বিয়ে করেন মাহি। খবর প্রকাশ হয়ে গেলে ২৫ মে গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তিনি।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই ২৭ মে বিভিন্ন অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হয়, মাহি আগেও দুইবার বিয়ে করেছেন। বিশেষ করে শাওনের আপলোড করা ছবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাহি-শাওন স্বামী-স্ত্রী হয়ে থাকলেও তাদের গোপন ছবি ফেসবুকে আপলোড করা সমাজের জন্যও ক্ষতিকর। তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক আছে কি না তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি আপলোড করার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
৩১ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে