শুক্রবার, ০৩ জুন, ২০১৬, ০৭:৩৪:১৮

ব্যবসা শুরু করেছেন হ্যাপী

ব্যবসা শুরু করেছেন হ্যাপী

বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করার মধ্য দিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপী। এই মামলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সর্বাধিক আলোচিত মডেলে রূপান্তরিত হয়েছিলেন তিনি। মামলা দায়েরের দিন থেকে দীর্ঘ ৬মাস পর্যন্ত এ নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। যার ফলে হ্যাপী রাতারাতি চলে আসেন লাইম লাইটে। এসব ঘটনায় ফেসবুকে একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি আলোচনা ও সমালোচনার জায়গাটি উন্মুক্ত রাখেন। যার ফলে তাকেসহ রুবেলকে নিয়ে চলে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা।

এর ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনিই তিনি ছিলেন কোন না কোন সংবাদ শিরোনামে। তবে এসব আলোচনা ও সমালোচনা ছাপিয়ে বেশ কয়েক মাস হলো নিজেকে পুরোপুরি বদলে নিয়েছেন হ্যাপী। চলচ্চিত্র কিংবা মিডিয়ায় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। নিজের এ সিদ্ধান্তে পুরোপুরি অটল তিনি। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ছবি পর্যন্ত পোস্ট করছেন না। ফেসবুকের প্রোফাইল ও কাভারে পবিত্র কোরআন শরিফের ছবি দিয়ে রেখেছেন। এমনকি ধর্মীয় দৃষ্টিতে সেলফি দেয়া কতটুকু গোনাহর কাজ সে বিষয়েও স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাশাপাশি নিয়মিত ইসলামিক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

আজ ৩ জুন শুক্রবার হ্যাপী তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি নাকি একটি অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেছেন। যার নাম 'হ্যাপীয়েস্ট শপ'। ফেসবুক থেকে হ্যাপীর সেই স্ট্যাটসটি এমটিনিউ২৪-এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধার হলো।

'যারা আমাকে পছন্দ করেন তাদের জন্য কিছু কথা না বললেই নয়। আমি হঠাৎ করেই একটি অনলাইন শপ Happiest Shop চালু করেছি, যদিও নিজে হালালভাবে কিছু একটা করার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল এবং এই কারণেই ছিল যাতে করে মানুষের সাহায্য করতে পারি ইনশাআল্লাহ!

বাবা মায়ের কাছ থেকে সব সময় টাকা নিয়ে তো দেওয়াই যাই কিন্তু এতে তো আর নিজে কষ্ট করে দেওয়ার যে আত্মার শান্তি তা আর পাব না! তাই চিন্তা করেছি একবারেই কিছু টাকা নিয়ে সেটা দিয়ে কিছু একটা করে লাভের অংশ থেকে সাহায্য করার।

নিজের লাভের জন্য ব্যবসা শুরু করিনি, আমার প্রয়োজনও ছিল না আলহামদুলিল্লাহ! শুধু সাহায্য করার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ে এগিয়ে আসা।

অনেক ভাই-বোন আছেন যারা অনেক কষ্ট করে মাদ্রাসায় পড়ছেন, মাদ্রাসার বই কিনতে পারছেন না, বা বাচ্চাদের মাদ্রাসায় পড়াতে চাচ্ছেন কিন্তু টাকার জন্য পারছেন না বা কোনো দ্বীনি ভাই-বোন খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে একবেলা খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন, তারা আমাকে একটু কষ্ট করে জানান, ইনশাআল্লাহ আমি আমার সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করব।

মাত্র তো শুরু করলাম একটু সময় লাগতে পারে হয়তো। আসল সাহায্য তো আমার আল্লাহই করবেন, আমি শুধু উসিলা হতে চাই। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ না চাইলে আমার কোনো ক্ষমতাই ছিল না এই ক্ষুদ্র উদ্যেগও নেওয়ার। আমার জন্য দোয়া করবেন এই নগন্য বান্দির এই ক্ষুদ্র চেষ্টা যেন আল্লাহ কবুল করেন।'
৩ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে