রবিবার, ০৫ জুন, ২০১৬, ১০:৫৩:১৬

অবশেষে মাহি ও কথিত স্বামী শাওন পরিবারের মধ্যে সমঝোতা

অবশেষে মাহি ও কথিত স্বামী শাওন পরিবারের মধ্যে সমঝোতা

বিনোদন ডেস্ক : অবশেষে নায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী দাবিদার শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে শাওনের পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।

সমঝোতা শর্ত অনুযায়ী, মাহি শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেবেন।  অন্যদিকে শাহরিয়ার জেল থেকে বের হয়ে মাহির বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে পারবেন না।  মাহির ক্ষতি হয় এমন কোনো আচরণ করতে পারবেন না শাওন।

৫ জুন রোববার বেলা তিনটার দিকে মাহির উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের বাসভবনে উভয় পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে ৩০০ টাকার দলিলে এ সমঝোতা স্বাক্ষর হয়।  

সমঝোতা দলিলে স্বাক্ষর করেন মাহির বাবা আবু বকর ও শাহরিয়ারের বাবা নজরুল ইসলাম।  সাক্ষী ছিলেন শাহরিয়ারের বড় চাচা আবুল হাশেম ও ছোট চাচা মাহমুদুল হাসান।

এতদিন মুখ না খুললেও সমঝোতা স্বাক্ষরের পর গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন মাহিয়া মাহি।  তিনি বলেছেন, এর আগে তার বিরুদ্ধে অনেকেই অনেকভাবে নেতিবাচক খবর ছড়িয়েছে।  তিনি সব সময় চুপ থেকেছেন।  কিন্তু বিয়ের একদিনের মাথায় এমন খবর ছড়ানোয় বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন তিনি।

মাহি বলেন, আমাকে জড়িয়ে যখন ছবিগুলো প্রকাশিত হলো, তখন আমি নিজের কথা ভাবিনি, শুধুই শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের কথা ভেবেছি।  মনে হয়েছে, আমাকে জড়িয়ে এসব মিথ্যা খবরে তারা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন।  তাদের দিকে তাকিয়েই মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।

মাহির ধারণা, পুরো ঘটনার শুধু শাহরিয়ার একা জড়িত নন, তৃতীয় কোনো পক্ষ গভীর যড়যন্ত্রে লিপ্ত।

মাহি বলেন, শাওন আমার ছোটবেলার বন্ধু।  তার দ্বারা আমার এত বড় ক্ষতি সম্ভব নয়।  সে হয়তো কারো ইন্ধনে এমন কাজ করেছে।
 
তিনি বলেন, শাওন যেকোনোভাবে এখানে ফেঁসে গেছে।  বিষয়টি বোঝার পর আমি সমঝোতা করতে রাজি হয়েছি।

সমঝোতা স্বাক্ষরের পর শাহরিয়ারের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা আর ভুল করতে চাই না।  মাহির নতুন বিয়ে হয়েছে।  তার জন্য পরিবার থেকে সব সময়ই দোয়া থাকবে।

শাহরিয়ারের ছোট চাচা মাহমুদুল বলেন, আমাদের দুই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক বহুদিনের।  মাহিকে জড়িয়ে শাওন এ ধরনের ছবি প্রকাশ করবে জানতে পারলে কখনোই তা পারত না।

মাহমুদুল মনে করেন, মাহিরও মিডিয়াতে শত্রু  আছে।  শাওনের একার পক্ষে হয়তো এটা করা সম্ভব হয়নি।  এর পেছনে তৃতীয় কোনো পক্ষের হাত বা প্ররোচনা থাকতে পারে।

তিনি বলেন, মাহি তার মামলা প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গে কাবিননামা জমা দেয়ার বিষয়টিও মূল্যহীন হয়ে যাবে।

সমঝোতা দলিল নিয়ে এখন কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ারের চাচা বলেন, উকিলের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে ঠিকঠাক করা হবে। আগামীকাল আদালতে সমঝোতা দলিলটি হয়তো জমা দেয়া হবে।

গত ২৫ মে মাহির বিয়ে হয় সিলেটী পাত্র কম্পিউটার প্রকৌশলী পারভেজ মাহমুদের সঙ্গে।  এর একদিন পর ২৭ মে বন্ধু শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তার কিছু ছবি কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়।

সেদিনই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মাহি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।  পরে পুলিশ শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়।

৩১ মে রিমান্ড শেষে শাহরিয়ার ইসলামকে আদালতে আনা হয়।  আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। সেদিন শাহরিয়ারের আইনজীবী বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, গত বছরের ১৫ মে শাহরিয়ার ও মাহির বিয়ে হয়।  আদালতে বিয়ের কাবিননামাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
২৫ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে