রিমন মাহফুজ: বর্তমান সময়ে মিডিয়াতে নারীসাংবাদিকের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি এই পেশায় আসছেন নারী আলোকচিত্রী।
এমনই একজন সময়ের আলোকচিত্রী, ফ্যাশন ও ওয়েডিং ফটোগ্রাফির জগতে পরিচিত একটি নাম- রোথী মোস্তফা।
ছোটবেলা থেকেই আলোকচিত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার প্রতি প্রচন্ড ঝোঁক ছিল তার।সেই স্বপ্ন থেকে আজ রোথী মোস্তফা নিজেকে আলোকচিত্রী হিসেবে তৈরি করেছেন একটু একটু করে।
রোথী মোস্তফা। শৈশবেই ক্যামেরা হাতে নিয়েছিলেন। শুরুতে শখের বশে হলেও একটা সময় কাজের ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়ায় মিডিয়া। তার প্রতিটি কাজে থাকে নান্দনিকতা। টিভি, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত শিল্পীসহ বহু তারকার তোলা তার ছবি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রোথী মোস্তফা বলেন, ‘শখের বশেই ছবি তুলতাম। ছবি তোলার প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা ছিল। সেই ভালোবাসা থেকেই এতদূর পথচলা। এই পেশার মূল বিষয় হলো, চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ প্রতি মুহূর্তেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। অন্যরকম এক ভালোলাগা থাকে স্থিরচিত্র ঘিরে।’ রোথী মোস্তফার মতে, ‘আমাদের দেশে অ্যাডভারটাইজমেন্ট ও পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির চেয়ে ওয়েডিং ও ফ্যাশন ফটোগ্রাফি অনেক এগিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রগুলোও বাড়ছে।
রোথী মোস্তফার কাছে এই পেশার মূল আকর্ষণ হলো ‘সৃষ্টির আনন্দ ও স্বাধীনতা। কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে তার।’ বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের দেশে ফটোগ্রাফারদের কি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়-এমন প্রশ্নের জবাবে রোথী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য বিখ্যাত ফটোগ্রাফারের ভিড়ে আমাদের দেশের আলোকচিত্রশিল্পীদের মূল্যায়নের ব্যাপারটা আমি পজিটিভভাবে দেখি। আমি মনে করি, অবশ্যই মূল্যায়ন হয়। আমাদের দেশে এখন কাজ করার অনেক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের আলোকচিত্রের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি আছে এবং ব্যাপ্তিটা ধীরে ধীরে আরও বাড়ছে। সেই সঙ্গে আমাদের দেশে ফটোগ্রাফি পেশার জনপ্রিয়তাও দিন দিন বাড়ছে। আর ফটোগ্রাফি পেশায় অনেক আনন্দ আছে।পুরুষ ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে কাজ করতে বিব্রত বোধ করেন কী না- এমন প্রশ্নের উত্তরে রোথেী বলেন-মনেই হয় না, আমি একজন নারী ফটোগ্রাফার। এ ব্যাপারে কখনও, কোনোদিন বিব্রত হইনি।’
রোথী স্বপ্ন দেখেন-ভবিষ্যতে একটা ইনস্টিটিউট করবেন। যেখানে ফ্যাশন ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা হবে।সুযোগ থাকবে কাজ শেখার। এ ধরনের ইনস্টিটিউশন কাজ শুরু করলে নতুনরা অনেক সংগঠিত হবে, ভালো মকাজের সুযোগ তৈরি হবে।
আমরাও চাইবো, রোথীর স্বপ্ন একদিন রুপ নেবে বাস্তবে।
জয়তু রোথী মোস্তফা।
১৩ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস