বিনোদন ডেস্ক : ট্রেলর তো আগেই মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু, তার মাঝেই গন্ডগোল। ট্রেলর মুক্তির পর সেন্সর বোর্ড জানিয়ে দেয়, উড়তা পঞ্জাবে কাঁচি না করে মুক্তি দেবে না তারা। সেই থেকে টানাপড়েনের শুরু। প্রথমে বম্বে হাইকোর্ট, সেখান থেকে আবার সুপ্রিম করত। সব কিছু করে অবশেষে, অনেক টানা হ্যাঁচড়ার পর অবশেষ মুক্তি পেতে চলেছে উড়তা পঞ্জাব।
তাতেও কিন্তু, গোল মেটেনি। মুক্তির আগেই ইউ টিউবে কে বা ছেড়ে দিয়েছে বেশ কিছুটা আনকাট উড়তা পঞ্জাব। যা নিয়ে কম শোরগোল হয়নি। আর তারপরই বি টাউনের অভিনেতা, অভিনেত্রীরা দর্শকদের কাছে অনুরোধ করেন, সিনেমা হলে গিয়েই আপনারা উড়তা পঞ্জাব দেখুন। কিন্তু, যে উড়তা পঞ্জাব নিয়ে এত হইচই, তাতে আছে কী ? আর কী কী কারণে আপনাকে উড়তা পঞ্জাব দেখতেই হবে, দেখুন..
১। শাহিদ কাপুর ওরফে টমি সিং-কে দেখতেই হবে আপনাকে। ‘কামিনা’ শাহিদ কাপুর থেকে কীভাবে নিজেকে ওই সিনেমার জন্য পালটেছেন, সেটা নিজের চোখেই দেখতে হবে। এমনকি, এই সিনেমায় টমি সিং-কে দেখলে যুব সমাজের বেশ কিছু অংশের মাদকের ওপর আসক্তি এবং তাদের আসল অবস্থা বুঝতে পারবেন। ড্রাগ যে কীভাবে তিল তিল করে যুব সমাজকে ধংস করছে, তা উড়তা পঞ্জাব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে।
২। একজন রকস্টার তার ওপর আবার মাদকাসক্ত, সেই শাহিদ কাপুরকে আগে কখনও এভাবে দেখা যায়নি। ট্রেলর দেখেই কিছুটা আন্দাজ করা গিয়েছিল, বর্তমানে শাহিদ কাপুর কতটা পরিণত। তাই, শাহিদের এই টার্নসফরমেশন দেখতে আপনাকে উড়তা পঞ্জাবে মন দিতেই হবে।
৩। এই সিনেমার মেসেজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিষ্কার। ড্রাগের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই জারি রাখতে হবে, তা উড়তা পঞ্জাব স্পষ্ট করে দেবে। বিশেষ করে পঞ্জাবে যে ড্রাগ যে বেশ গেঁড়ে বসেছে, তা এই সিনেমা থেকে বেশ স্পষ্ট। পাশাপাশি, পোস্টারে যে ‘ড্রাগস দি মা দি’ লেখা রিয়েছে, তা সিনেমার সঙ্গে কতটা যুক্তিযুক্ত, সেটা বুঝতে গেলেও দেখতে হবে আপনাকে উড়তা পঞ্জাব।
৪। সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ অবশ্যই আলিয়া ভাট, ‘দা বিউটিফুল বিহারি’। আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতই অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিহার থেকে পঞ্জাবে এসেছিল সে। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বুঝতে পারে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তরিত করার অনেক চেষ্টা করলেও, সেটা মাঝে মধ্যে অধরাই রয়ে যায়। সুন্দরি বিহারি কন্যার চরিত্রের যে সঠিক চিত্রায়ন আলিয়া করেছেন, তা পুরো স্পষ্ট। তাই, এই সিনেমায় আলিয়াকে দেখতেও আপনাকে হলে যেতেই হবে।
৫। উড়তা পঞ্জাব আপনার চোখ খুলে দেবে। বর্তমান যুব সমাজকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়, তা সত্যিই আশ্চর্যের। এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে, পঞ্জাবের যুব সমাজের প্রায় ৭০ শতাংশ মাদকাসক্ত। সেখান থেকে তাদের বের করে আনার জন্য পুলিশ প্রশাসন যে কীভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে, তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র উঠে এসেছে ওই সিনেমায়।
৬। ব্রেক আপ, দু’জনের সংসারের পর ফের শাহিদ কাপুর এবং করিনা কাপুর খানকে আবার একসঙ্গে দেখা যাবে এই সিনেমায়। দুই প্রাক্তন একসঙ্গে কেমন অভিনয় করেন, সেটা দেখার জন্যও উড়তা পঞ্জাবের টিকিট কাটতে হবে।
৭। উড়তা পঞ্জাব যেন আপনাকে মেক্সিকোতে নিয়ে যাবে এক লহমায়। ভারত থেকে শ’যোজন দূরের একটি দেশের সঙ্গে এ দেশের একটি রাজ্যের কতটা মিল রয়েছে, সেটা দেখার জন্যও অন্যন্য উড়তা পঞ্জাব। মেক্সিকোতে যেভাবে প্রতিদিন ড্রাগের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো হয়, পন্জাবেও যে সেই একই রকম লড়াই চলছে, সেটা স্পষ্ট তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়।
৮। সিনেমায় দেখানো হয়েছে, পঞ্জাব যখন নির্বাচনের জন্য তৈরি হয়, তখন সেখানে ড্রাগটাও অন্যতম ইস্যু। সম্প্রতি, কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গান্ধীর কথা শুনলে বুঝতে পারবেন, পঞ্জাবে ড্রাগ সমস্যার শিকড় কতদূর বিস্তৃত। একটি জনসভায় তিনি বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে, পঞ্জাবের ড্রাগ সমস্যায় সমাধান করবে। অকালি দল নিজেদের দোষ ঢাকার জন্যই উড়তা পঞ্জাব ব্যান করতে চাইছে। ইন্ডিয়ডটকম
১৭ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন