বিনোদন ডেস্ক :এই ফিল্মেটি ২০০৯ সালে মুক্তি পায় তখন ভারতে সব ওপেনিং বক্স অফিস রেকর্ড ভঙ্গ করে। মুক্তির দিন এবং সপ্তাহে এটি বলিউডের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা। থ্রি ইডিয়টস ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র। এই সিনেমাটি ছয়টি ফিল্ম ফেয়ার, দশটি স্টার স্ক্রিন এবং ষোলটি আইফা অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়।
বক্স অফিসে চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছে থ্রি-ইডিয়ট।
কিন্তু জানেন কি পারফেক্টশনিস্ট আমিরের এই ছবিতে বেশ কিছু ভুল ছিল? খুবই বোকা বোকা ভুল সেগুলো। মনে পড়ছে কিছু? দেখে নেওয়া যাক কী সেগুলো:
১-সিনেমার প্রথম দৃশ্যে দেখা যাবে ফারহান এয়ারবাসে উঠে বসেছেন। কিন্তু নামার সময় দেখা যায়, সেটা ছিল বোয়িং।
এখন প্রশ্ন হল তাঁর যদি মুহূর্তের মধ্যে বিমান পরিবর্তন করার এমন অলৌকিক ক্ষমতা থেকে থাকে,
তা হলে বিমান থামানোর জন্য তাঁকে হার্ট অ্যাটাকের অভিনয় করতে হল কেন?
২-মোনা সিংহকে মনে আছে? বোমান ইরানির বড় মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যিনি।
বোমান ওরফে ভাইরাস প্রথমে তাঁকে পরিচয় দিয়েছিলেন পুনম। কিন্তু এর পর থেকেই তাঁকে মোনা নামেই ডাকা হচ্ছিল।
৩-ফারহান আর রাজু তো র্যাঞ্চোর বাবার চিতা ভস্ম টয়লেটে ফেলে দিয়েছিলেন। কিছু পরে আবার র্যাঞ্চোর হাতেই তা আবার দেখতে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন হল, তা হলে কে টয়লেট থেকে সেটা উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিলেন?
৪-আর সুহাস? যে কি না ওয়েডিং ভেন্যুতেই তৈরি হচ্ছিলেন বিয়ের জন্য। আচমকা ওয়েডিং ভেন্যুর মেন গেট দিয়ে তড়িঘড়ি ঢুকতে গেলেন কেন!
ওয়েডিং ভেন্যু থেকে বাইরে বেরোতে তো তাঁকে দেখা যায় নি।
৫-মোনার সন্তান জন্মানোর পর ভাইরাস তাঁর ছেলেকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন।
সেই সময়ে আমির খানের ডায়লগ ছিল, ‘‘উস ওয়াক্ত অগর ভাইরাস কহেতে কি মেরা পোতা ইঞ্জিনিয়ার বনেগা, মোনার ছেলে আসলে সম্পর্কে ভাইরাসের ‘নাতি’ হওয়ার কথা।
৬-মোনার সন্তান জন্মানোর পর ভাইরাস তাঁর ছেলেকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন।
সেই সময়ে আমির খানের ডায়লগ ছিল, ‘‘উস ওয়াক্ত অগর ভাইরাস কহেতে কি মেরা পোতা ইঞ্জিনিয়ার বনেগা, মোনার ছেলে আসলে সম্পর্কে ভাইরাসের ‘নাতি’ হওয়ার কথা।
৭-স্নাতক স্তর উত্তীর্ণ হওয়ার পরে আমির খানতে ট্যাক্সিতে করে যেতে দেখা গিয়েছিল। ট্যাক্সির নম্বর প্লেটটি কিন্তু ট্রাফিক আইন অনুযায়ী ছিল না।
লক্ষ্য করেননি তো?
৮-আর টিচার্স ডে-তে চতুর-এর পিছনে লাগানো বড় ব্যানারটা চোখে পড়েছিল নিশ্চয়ই। যেখানে টিচার্স ডে বানান টাই ভুল ছিল। লেখা ছিল টিচার’স ডে।
৯-ফাইনাল পরীক্ষার পর গ্রুপ ফটো তোলা হয়। সেই গ্রুপ ফটো তিন বার ফিল্মে দেখানোও হয়েছে।
লক্ষনীয় বিষয় হল, র্যাঞ্চো ছাড়া অন্য সবাইয়ের স্থান প্রতি বারেই পরিবর্তন হতে দেখা গিয়েছে।
১০-ফিল্মের শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর র্যাঞ্চোকে তাঁরা বালিতে ফেলে বেধড়ক মারেন।
তখন তাঁর জামায় কিন্তু খুব কম পরিমাণ বালি লেগেছিল। চতুরের সঙ্গে যখন তাঁর দেখা হয়, বালির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়।-আনন্দ বাজার
২০জুন২০২৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এআর/এমএম