বিনোদন ডেস্ক : একদিকে পর্দা অন্যদিকে হৃদয় কাঁপানো বলিউড অভিনেতা সালমান খান। আর এই সালমান খানকেই ৭ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ক্ষমা চাইতে! এসময়ের মধ্যে তাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন।
সম্প্রতি সালমান খান তার নতুন ছবি ‘সুলতান’ নিয়ে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, এ ছবির শুটিং শেষে নিজেকে মনে হয় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী। তার এই শব্দ ব্যবহারের কারণে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক মিডিয়ায় ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
সূত্র বলছে, বিনোদনমুলক ওয়েবসাইট স্পটবয়ই’কে তিনি একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন ‘সুলতান’ নিয়ে। সেখানে তিনি বলেছেন, যখন আমি রিং থেকে নেম আসি, তখন শুটিংয়ের পর আমার মনে হয় যেন, পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী। আমি সোজা হয়ে হাঁটতে পারি না। এ সাক্ষাতকারটি শনিবার প্রকাশিত হয়েছে। এ বক্তব্য প্রচার হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝরে পড়ে। বলা হয়, সালমান খানকে এমন বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
উল্লেখ্য, ‘সুলতান’ ছবিটি রেসলিং ধর্মী। এতে ৫০ বছর বয়সী সালমান খান অভিনয় করেছেন। এতে তাকে ১২০ কিলোগ্রাম ওজনের একজন ব্যক্তিকে তার ১০ বার উপরে তুলতে হয়। তাও ১০টি ভিন্ন কোণে। এ বিষয়ে তিনি নিজের ক্লান্তি, শারীরিক শ্রম নিয়ে কথা বলছিলেন ওই সাক্ষাতকারে। তিনি বলেন, এ কাজটি আমার কাছে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে। এ শুটিং করে আমি ঠিকমতো দাঁড়াতে পারি না। হাঁটতে পারি না।
তবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী’র সঙ্গে নিজেকে তুলনা করায় প্রচন্ড ক্ষেপেছেন ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন প্রধান ললিতা কুমারামঙ্গলাম। তিনি বলেন, তার মতো একজন ব্যক্তির এমন দায়িত্বহীনের মতো কথাবার্তা সত্যিই লজ্জার।
সমালোচকদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি নেতা শাইনা এনসি। তিনি বলেছেন, এমন বক্তব্য দেয়ার জন্য অবশ্যই সালমানের নিন্দা জানাতে হবে। সবাই জানেন যে, সালমান নারীদের সম্মান করেন। যদি তিনি নারীদের সম্মান করেই থাকেন তাহলে তার স্বীকার করতেই হবে যে, তিনি ভুল করেছেন এবং এ জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
২১ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন