বিনোদন ডেস্ক : টুইটারে আর খোলামেলা ছবি দেবেন না কান্দিল বালোচ। স্ট্রিপও করবেন না তিনি। ভাইয়ের হাতেই পরপারে কান্দিল বালোচ। মৃত্যুর তিনদিন আগেও মৃত্যু হুমকি পেয়েছিলেন কান্দিল। পাকিস্তানের প্রশাসনকেও জানিয়েছিলেন। এমনকি ভারতীয় নাগরকিত্ব চেয়ে মোদির কাছেও আবেদন করেছিলেন এই মডেল।
খুশির ঈদে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। ঈদ শেষে ফিরলেন কফিনে। সাদা কাপড়ে মোড়া কান্দিলের দেহটার ওপর শেষবার মাটি দিলেন ওর বাবা।
তখন ওর কবরের ওপর পড়ছিল চোখের জল। কান্দিলের বাবা বলেছিলেন, কান্দিল আমার মেয়ে ছিল না, ও আমার ছেলে।
মেয়ের হত্যাকারী ছেলের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন অনার কিলিংয়ের শিকার পাক মডেল কান্দিল বালোচের বাবা আনোয়ার আজিম।
তার দাবি, বোনকে খুন করার শাস্তি হিসেবে তার ছেলেকে গুলি করে মারা হোক।
পুলিশের কাছে দেয়া বয়ানে আজিম বলেন, ও আমার ছোট্ট মেয়েটাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। আমি চাই ওকে দেখামাত্র গুলি করে মারা হোক।
গত ১৪ জুলাই রাতে কান্দিলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ভাই ওয়াসিম। পুলিশ জানিয়েছে, মাদক দিয়ে বেঁহুশ করার পর কান্দিলকে হত্যা করা হয়।
এদিকে মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন কান্দিলের মা। কান্দিলের মা বলেন, মেয়ে আমাকে সমস্ত গোপন কথা খুলে বলত। আমরা দুজনে যাবতীয় সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতাম। ও বলতো- তোমার মেয়ে অনেক পরিশ্রম করছে, দেখবে সে অনেকদূর যাবে।
এ ঘটনায় কান্দিলের ভাই ওয়াসিমের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের খোলামেলা ছবি পোস্ট করে পরিবারের সম্মান নষ্ট করেছিল কান্দিল। সম্মান রক্ষার জন্যই বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
২২ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম