বিনোদন ডেস্ক : মহানায়কের স্মৃতিতর্পণ। অভিনয়ের আভিজাত্য আর ভুবন ভোলানো হাসি দিয়ে মন জয় করেছেন আপামর মানুষের। বাংলা চলচ্চিত্রের এক এবং অদ্বিতীয় নায়ক হিসেবে যিনি আপামর বাঙালীর মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি মহানায়ক উত্তম কুমার।
১৯৮০ সালের এই দিনে কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ৫৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা। রেখে যান অসংখ্য সৃষ্টিকর্ম।
উত্তম কুমারের আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কলকাতার সাউথ সাবার্বান স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং পরে গোয়েঙ্কা কলেজে ভর্তি হন। কলকাতার পোর্টে চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসে চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে।
বসু পরিবার চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এরপর সাড়ে চুয়াত্তর মুক্তি পাবার পরে তিনি চলচ্চিত্র জগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন। সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি প্রথম অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়।
উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে অনেকগুলি ব্যবসায়িকভাবে সফল এবং একই সাথে প্রশংসিত চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় একসাথে অভিনয় করেছিলেন। এগুলির মধ্যে প্রধান হল - হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা এবং সাগরিকা।
২৪ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস