বিনোদন ডেস্ক: ভরসা রেখেছিলেন আইনব্যবস্থার উপর। দীর্ঘ চার বছর পর বেকসুর প্রমাণিত হলেন শিলাজিত্ মজুমদার।
প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে পঞ্চসায়রের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন শিলাজিত্। সেখানেই তাঁর স্টুডিও এবং গানবাজনা-সহ বিভিন্ন রকম সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের আসর বসে। অনুরাগীরা যে বাড়িটিকে ‘অ্যান্টেনা’ নামেই চেনেন। শিলাজিতের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানালেন, ২০১২’র মার্চে শিলাজিতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় মারধর, প্রাণনাশের হুমকি এবং ভাঙচুরের। মামলা করেন বাড়িওয়ালার জামাই অমর চক্রবর্তী। যদিও বাড়িওয়ালা নিজে মামলা করেননি। শিলাজিত্ ওই বাড়ির ‘অপব্যবহার’ করছেন বলে কয়েকজনকে নিয়ে সেখানে বিষয়টা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে যান অমর। কিন্তু অমরের অভিযোগ, শিলাজিত্ এবং তাঁর দলবল উল্টে তাঁদের উপরই চড়াও হন। তাঁদের মারধর করেন, বাড়িতে আটকে রাখেন এমনকী, প্রাণনাশের হুমকিও দেন। তার পরই শিলাজিতের বিরুদ্ধে পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ করেন অমর। যেটা আদালত অবধি গড়ায়।
চার বছর ধরে শুনানির পর, সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে শিলাজিত্কে বেকসুর ঘোষণা করেন আলিপুর আদালতের ফোর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবিত্র সেন। শিলাজিতের আইনজীবী অনির্বাণ বললেন, ‘‘সোমবার আদালত রায় দিয়েছে, শিলাজিত্ এ ধরনের কোনও ঝামেলাতেই জড়াননি। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীনই অভিযোগকারী অমর বলেছেন, তিনি পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি থাকায় এটা করেছেন। অথচ তাঁর শ্বশুরের সঙ্গে শিলাজিতের কোনও ঝামেলাই নেই। বিচারক তাঁর কাছে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দেখতে চাইলে তা তিনি দেখাতে পারেননি। ইচ্ছে করে মামলায় দেরির চেষ্টাও করেছিলেন ওঁরা। ন্যায়বিচার হয়েছে। এটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, শিলাজিতের সম্মানহানি করার চেষ্টা করেছিলেন অমর। মানহানির মামলা করা যায় কি না সেটা ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।’’
শিলাজিত্ আদালতের রায়ে খুশি। বললেন, ‘‘আইন-আদালতের উপর ভরসা রেখেছিলাম। আইন প্রমাণ করে দিল, আমি দোষী নই। আমার আইনজীবীকে বলেছি, মানহানির মামলা করার জন্য। অমর চক্রবর্তী যথেষ্ট উত্পাত করছিলেন। বাড়িটাও জানতে পারলাম ওঁর নিজের নয়। বহুদিন ধরেই আমার নামে মিথ্যা কথা রটাচ্ছেন। বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে আমার নামে উল্টোপাল্টা রটিয়ে খবর করারও চেষ্টা করেছেন, আমার নাকি সাজা হচ্ছে! একটা জবাব দিলাম। বাকিগুলো দিচ্ছি।’’-এবেলা
০২ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জাহিদ/জেএইচ