বিনোদন ডেস্ক: বচ্চন পরিবারের গৃহবধূ হওয়া প্রায় নিশ্চিত ছিল কারিশমা কাপূরের। কিন্তু তা হয়নি। একজনের অতি লোভেই কি তাঁতি নষ্ট হয়েছিল?
কেন ভেঙেছিল এঁদের সম্পর্ক?
অভিষেক বচ্চন এবং কারিশমা কাপূরের প্রেম ছিল একসময়ে বলিউডের সবথেকে চর্চিত বিষয়। করিশ্মা অভিষেকের থেকে দু’বছরের বড়। শুধু তা-ই নয়, যখন প্রেম চলছে পুরোদমে, তখন অভিষেকের কেরিয়ার বলে কিছু ছিল না। দু’-একটা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বটে, কিন্তু নায়ক হিসেবে বিন্দুমাত্র কল্কে পাননি। উল্টে বাবার সঙ্গে তাঁর তুলনা টেনে কেরিয়ারে দাঁড়ি ফেলে দেওয়ার জোগাড় করেছিল সংবাদমাধ্যমের একাংশ।
আর কারিশমা? তাঁর কেরিয়ার কিন্তু তখন মধ্যগগনে। একের পরে এক হিট, বলিউডের পয়লা নম্বর নায়িকা। কাপূর খানদানের এহেন মেয়েটি কীভাবে অভিষেক বচ্চনকে বেছে নিলেন, সে ধরনের বাঁকা প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু অভিষেক এবং কারিশমা ছিলেন অটল। তাঁদের সম্পর্কে ইগো আসতে পারেনি। কপূর এবং বচ্চন খানদানের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ‘‘রিস্তেদারি’’-তে বদলালে বলিউডে কী কী হতে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল জোরদার আলোচনা। বচ্চন পরিবার নাকি এই সম্পর্কে বেশ খুশিই ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন এই সম্পর্ক পরিণতি পেল না? শোনা যায়, নেপথ্য রয়েছেন একজন। কে তিনি? যাঁর নাম ভেসে আসে, প্রথমে তাঁর নাম বিশ্বাস করা কঠিন। কারিশমার মা, ববিতা।
২০০২ সালে অভিষেক এবং কারিশমার এনগেজমেন্টের কথা ঘোষণা করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন স্বয়ং। কিন্তু তাঁকে একরাশ লজ্জায় ডুবিয়ে বেঁকে বসেন ববিতা। শোনা যায়, তিনি প্রথমেই প্রশ্ন তোলেন, অভিষেক তাঁর মেয়ের যত্ন নিতে পারবেন কি না, তা নিয়েই। অভিষেকের কেরিয়ার, রোজগার— এ সব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ নিয়ে দুই পরিবারে বেশ দীর্ঘ আলোচনা চলে বলে শোনা যায়। কিন্তু ববিতা নাকি কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না।
এর পরে তিনি এক মোক্ষম শর্ত দেন বচ্চন পরিবারকে। অমিতাভ বচ্চনের সব সম্পত্তি লিখে দিতে হবে অভিষেক এবং কারিশমার নামে। বলা বাহুল্য, অমিতাভ বচ্চন এতে রাজি হননি। অভিষেক এবং কারিশমার সম্পর্কে সেখানেই দাঁড়ি পড়ে যায়।
বচ্চন এবং কপূর পরিবার অবশ্য বরাবর এ নিয়ে চুপ থেকেছে। ফলে বিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে যা শোনা যায়, তা যাচাই করার অবকাশ নেই। পুরোটাই গুঞ্জন।-এবেলা
৮ আগস্ট ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস