ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকের ছাদ থেকে চার দিনের ছেলে নবজাতককে ফেলে দিয়ে নিজেও ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন সীমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ। ঘটনাস্থলে ওই নবজাতকটিরও মৃত্যু হয়। শুক্রবার শহরের পুরনো জেলরোডের দ্য ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সীমা সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ারা ফুলচং গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। মনির লেবানন প্রবাসী। গত এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ১নং ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর উসমান গণি বলেন, স্বামীর সঙ্গে সীমার কোনো কলহ চলছিল কিনা সেটি আমরা এখনও জানতে পারিনি। কী কারণে তিনি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন সেটিও স্পষ্ট নয়।
গনি জানায়, গত মঙ্গলবার বিকালে প্রসব বেদনা নিয়ে সীমা জেলরোডের লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ৩০২ নম্বর বেডে ভর্তি হন। এদিন সন্ধ্যায় সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছেলেসন্তানের জন্ম দেন সীমা।
শুক্রবার সকালে হাসপাতাল থেকে তাদের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রহস্যজনক কারণে লাইফ কেয়ার হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের ছাদ থেকে সীমা প্রথমে তার নবজাতককে ছুড়ে ফেলে দেন। এর পর তিনি নিজেও নিচে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।