ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : মাথায় চিনি ও হাতে চা পাতার প্যাকেট দেখে বোঝার বাকি রইলো না এটাই বিশাল। পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কেমন লাগছে? কাছে আসার পর এমন কথায় মুচকি হাসলো।
চিনি, চাপাতা থেকে তার সাথে চলে খোশ গল্প। মো. বিশাল মিয়া পিইসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বিশাল। বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে দিন কাটিয়ে গভীর রাতের পড়াশুনায় তার এ সাফল্য।
এ ব্যাপারে বিশালের বাবা মো. লিয়াকত মিয়া জানালেন, গ্রামের বাড়ির জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে। থাকেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মৌড়াইলে। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার। বাড়ি ভাড়া, তিন সন্তানের পড়াশুনার খরচসহ অন্যান্য সাংসারিক ব্যয় মেটানো হয় চা বিক্রির আয় থেকেই।
আগে বড় ছেলে ইভান দোকানে থাকতেন। কয়েক বছর ধরেই সঙ্গে থাকে বিশাল। বিকেল পাঁচটার পর এসে বাড়ি ফিরে রাত একটার দিকে। এরপর পড়তে বসে। ডিপ্লোমায় পড়াশুনা করা ছেলে ইভানও আগে এভাবে দোকানে বসতো।