ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : গোটা দেশকে যেদিন করোনার ঝুঁ'কিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়ছে, ঠিক তার পরের দিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা জুবায়েরের জানাজায় হাজার হাজার মানুষকে শরিক হতে দেখা যায়। মাওলানা আনসারীর জানাজায় মানুষের যে ঢল, তা আ'টকানোর মতো পরি'স্থিতি ছিল না বলে জানিয়েছেন সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
লকডাউন উপেক্ষা করে এত মানুষের সমাগম করোনা ঝুঁ'কি বাড়াবে বলে সমালোচনা হচ্ছে সর্বমহলে। জানাজার ছবি ভাইরালসহ সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। এমন পরি'স্থিতিতে অনেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষ বোধসম্পন্ন হলে বোঝানো সম্ভব। বোধহা'রা হলে কিছুই করার নেই। প্রশাসন চেষ্টা করেছে। কিন্তু জানাজায় শরিক হওয়া থেকে মানুষকে নিভৃত করা সম্ভব হয়নি। জানাজায় মানুষের সমাগম এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ''মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় মানুষের অংশগ্রহণ সীমিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু কাজ হয়নি। জুবায়ের সাহেব একটি ইসলামিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। অগণতি ভক্ত, অনুসারী রয়েছে তার। দূর-দূরান্ত থেকেও ভক্তরা শরিক হয় জানাজায়।'
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ''ডিসি বা এসপি অফিসে কতজনই আর জনবল থাকে! জানাজায় শরিক হওয়া মানুষের তুলনায় এই জনবল কিছুই না। করোনাকালীন পরিস্থিতি নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাদের। মানুষ গুরুত্ব দেয়নি। এমন জায়গায় শক্তি প্রয়োগের উপায় থাকে না। ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে জো'র করলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে প্রশাসন শক্তি প্রয়োগ করেনি।''
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ''সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে পরি'স্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। করোনার ক্ষতি এখনও ব্যা'পক আকার ধা'রণ করেনি বাংলাদেশে। তবে সরকারের একার পক্ষে পরি'স্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব নয়। মানুষ সচেতন হলে আমরা এই ক'ঠিন সময় অবশ্যই কাটিয়ে ওঠতে পারব। নইলে পরি'স্থিতির অবন'তি হবে।''