৩ ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষ বিএনপির দুপক্ষের, বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ২টা থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া গ্রামে এ সংর্ঘের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অন্তত ৫ জনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মেহারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আওয়াল এবং মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা কামাল গ্রুপের মধ্যে মাছের ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

এ বিরোধের জের ধরে সোমবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামাল এবং আবদুল আওয়ালের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল ও লোহার রড নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এ সময়  ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নানের বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।

প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে টেটা বল্লমের পাশাপাশি দুপক্ষই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। দফায়- দফায় চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন।

আহতদের মধ্যে কামাল মিয়া, জসিম উদ্দিন কিবরিয়া, টেঁট্টাবিদ্ধ সুমন মিয়াসহ গুরুতর আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিলে চিকিৎসক তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপর আহতদের কসবাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ দিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাট ভাঙচুর করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা দায়ের করেনি।