বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩, ০৬:৫১:৫৫

‘আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব’, চোরের চিঠি

‘আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব’, চোরের চিঠি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : রাতের আঁধারে সুযোগ বুঝে ফল-ফলাদি চুরি করত এক দল চোর। সকাল বেলা গাছের মালিকরা গাছে তাদের ফল না পেয়ে চোরদের উদ্দেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে চিঠির মাধ্যমে মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। একই সঙ্গে চুরির ফল রাতের আঁধারে মালিকের বাড়িতে রেখে যায় তারা।

এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে। মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দেওয়া এবং চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন সব মহলে আলোচনা চলছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ নানান প্রকারের ফল চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শখের বসে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানান প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সর্বশেষ ওই গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়।

এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে বকাঝকা করেন। বিষয়টি চোরের মনে নাড়া দেয়। তাই দুদিন আগে রাতের কোনো একসময় তার বারান্দায় চুরি হওয়া একটি পাকা কলার বড় কাঁদি রেখে যান। একই সঙ্গে তারা একটি চিঠিও দিয়ে যান।

ওই চিঠিতে চোরের দল উল্লেখ করে, আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, একটি চিঠি পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা দেখলে বুঝতে পারা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে।

ইউপি সদস্য জিতু মিয়া বলেন, মৌসুমি ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকেন। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে