শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বেআইনী জনতাবহে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া পরস্পর মারপিট ও সংর্ঘষ করিয়া সাধারণ এবং গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত হওয়ায় মৃত্যর ঘটনার অপরাধে রবিবার দুপুরে উপজেলা বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। নেতাকর্মীরা ফরিদগঞ্জ কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক কফিল উদ্দিন তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন : ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান দুলাল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন পাটওয়ারী, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, বিএনপি ও জামাত নেতাদের মধ্যে সোহেল, মামুন, মানিক পাটওয়ারী, আবু তাহের, মাও. মহিব উল্লাহ, আব্দুল মজুমদার, জামাই ফারুক, মাসুদ, হাফেজ ফারুক, নাজিম ভূঁইয়া।
২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ত্রি-মুখী সংঘর্ষে আরিফ, জাহাঙ্গীর ও বাবুলের মৃত্যুর ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার এস আই (উপ-পরিদর্শক) সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ মামলা দায়ের করেন। যার নং জিআর ২৫০/১৩।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর ১৮ দলীয় ঐক্য জোটের বিএনপি জামাত শিবির এর ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার নেতাকর্মী মিলিত হইয়া রায়পুর রোডের ওনআ চত্ত্বর হইতে মিছিল বের করে পৌরসভাধীন প্রানী সম্পদ কার্যালয় সামনে উপস্থিত হয়।
এ সম নেতাকর্মীরা রামদা, চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, বোতল, আগ্নেয়াস্ত্র ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদুল হকের নের্তৃত্বে পুলিশ গ্যাস, ১১টি টিয়ারসেল, ২৪২টি শর্টগান কাতুজ, ২৯ রাউন্ড চায়না শর্টগান স্লিপ নিক্ষেপ করে। আসামীপক্ষের আইনজীবীরা হলেন এড. সেলিম আকবর ও এড. কামরুল ইসলাম
এমটিনিউজ/টিটি/পিএস