চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ১৬ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ইউপি সদস্য বাবুল মিয়ার মামাতো ভাই আলীর বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুর দুইটার দিকে রাজ্জাক প্রধান গংদের সঙ্গে বাবুল মেম্বারের লোকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। সেই জেরে রাজ্জাক প্রধানের নেতৃত্বে কাইল্লা, নুরু, কালু, বাবলু গংরা লাঠি, শাবল নিয়ে বারেক বেপারী, আহাম্মদ হোসেন, জালাল বেপারী, দুলাল বেপারী, শহিদ, মোহাম্মদ হোসেন, আক্তার হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। হামলার খবর পেয়ে বাবুল মেম্বারের লোকজন পাল্টা আক্রমণ করে।
এদিকে দুই পক্ষের হামলা-প্রতিহামলার খবর জানতে পেরে মতলব উত্তর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই গোলাম মোস্তফা, এসআই জসিম-১, এসআই জসিম-২ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে। একপর্যায়ে রাজ্জাক প্রধানের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও ৮০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
এতে এসআই জসিম-১, এএসআই আফজাল, কনস্টেবল জহিরসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। এছাড়া দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত হন জাহাঙ্গীর বেপারী, দুলাল বেপারী, শুক্কুর আলী, আক্তার হোসেন, আনোয়ার, মফিজুল ইসলাম’সহ ১৬ জন। আহতদের ছেংগারচর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, 'আমরা দুপুরে নামাজে ছিলাম। এমন অবস্থায় রাজ্জাক প্রধানের নেতৃত্বে তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ও বাড়ির ভেতরে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে, ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ লুটপাটসহ নারী-পুরুষের উপর হামলা করে। এই ব্যাপারে উত্তর থানায় মামলা হয়েছে'।
বিষয়টি সম্পর্কে রাজ্জাক প্রধানের ভাষ্য জানতে মুঠোফোনে কয়েক দফা চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিকাল পাঁচটায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) রাজন কুমার দাস, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।