পদ্মার বুকে জেগে উঠা চর বাংলাদেশের মিনি কক্সবাজার! দেশের প্রথম ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুর। এই জেলাটি ইলিশের বাড়ি নামেও খ্যাত। চাঁদপুরের সবক’টি বিনোদন কেন্দ্রের চেয়ে ভ্রমণপিপাসুদের সবচেয়ে বেশি প্রিয় চাঁদপুর শহরের ত্রি নদীর মোহনা। সেই সাথে শুষ্ক মৌসুমে যুক্ত হয় পদ্মার বুকে জেগে উঠা বালুর চর।
অনেক বছর আগেই জেগেছে এই চর। তবে গত বছর থেকে এই চরটি ভ্রমণপিপাসুদের মনে মিনি কক্সবাজার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এখানে মিলছে সমুদ্র সৈকতের মতই অনুভূতি। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসছে পর্যটকরা।
এখানে বিশাল পদ্মার রূপ নিয়ে এক বিস্ময়। এখানে দেখায় একটু পরপর পদ্মার ঢেউ কূলে আঁছড়ে পড়ছে। খানিক পরপর মাছ ধরার ট্রলার ছুটে চলে যাচ্ছে। তীরে সব ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়। পুরো নদীর তীর ও তার আশপাশের এলাকা সমুদ্রসৈকতের মতো করে সাজানো।
এখানে সকালবেলাটা খুব ভালো কাটে, দুপুরটা কিছু মন্দ হলেও তবে বিকেলবেলা অনেক বেশি জমজমাট। সোনা রোদের গোধূলিবেলার তো কোনো তুলনাই চলে না।বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের আদলে চাঁদপুরের মিনি কক্সবাজার রুপদান দেওয়ার লক্ষে ইতিমধ্যে বেসরকারীভাবে কয়েকজন তরুনের প্রচেষ্টায় “স্বপ্ন ট্যুরিজম” এর উদ্যোগে ১০টি বীচ চেয়ার বসানো হয়েছে।
বাংলাদেশের দুটি বিখ্যাত নদী পদ্মা এবং মেঘনার মোহনায় জেগে উঠা এই বালুর চরে ফুটবল খেলা সত্যি একটু ভিন্ন রকম আনন্দ, ভিন্ন রকম ভালোলাগা। সব মিলিয়ে এমন একটি বিনোদন কেন্দ্রকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের দাবী। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন লেখনির মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কাছে এ দাবী জানিয়েছেন।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে নদীপথে লঞ্চে চাঁদপুর যাবেন। চাঁদপুর মাদ্রাসা ঘাটে নেমে যেতে হবে বড় স্টেশন মোলহেড। সেখান থেকে ভাড়ায় চালিত ট্রলারে চেপে যেতে পারবেন পদ্মার চরে। ইচ্ছে করলে রিজার্ভ ট্রলার নিয়েও যেতে পারেন।