চাঁদপুর থেকে : প্রায় তিন মাস ধরে নিখোঁজ খোকন চন্দ্র দাস (৪৮)। এ অবস্থায় সংসারের হাল ধরেছেন তার মেয়ে শ্রাবণী চন্দ্র দাস। তিনি তিনি টিউশনি করে সংসারের ও বোনদের লেখাপড়ার খরচ চালানোর চেষ্টা করছেন।
গত ১৪ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া দাস বাড়ির খোকন চন্দ্র দাস। এ বিষয়ে গত ১৬ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
থানার সাধারণ ডায়েরিতে দেয়া তথ্যমতে, খোকন চন্দ্র দাস বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় পরনে লুঙ্গি ও কালো জেকেট এবং গলায় মাফলার ছিল। উচ্চতায় ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, গায়ের রং কালো। তিনি চাঁদপুরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, খোকন চন্দ্র দাস একজন পান ব্যবসায়ী ছিলেন। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। তারপর থেকে এখনও কোনো খোঁজ মিলেনি। চার কন্যা সন্তান নিয়ে স্ত্রী সন্ধ্যা রাণী দাস নিভৃতে কাঁদছেন। অন্যদিকে পড়ালেখার খরচ, ভরণপোষণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
সন্ধ্যা রাণী দাস বলেন, বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মেঝ মেয়ে শ্রাবণী হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর ছোট দুই মেয়ে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। আমার বিশ্বাস স্বামীকে ফিরে পাব। তার কোনো শত্রু নেই। এভাবে তিনি হারিয়ে যেতে পারেন না।
মেঝ মেয়ে শ্রাবণী চন্দ্র দাস বলেন, বাবার কাছে মোবাইল ছিল না। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বাবা না থাকায় সংসারের অভাব-অনটন বেড়েছে। আমি পড়ালেখার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াই। সেই টাকা দিয়ে আমার ও বোনদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের খরচ মেটানোর চেষ্টা করছি।
তদন্ত কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার এসআই মো. সেলিম মাঝে মাঝে খোকন চন্দ্র দাসের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তা ধরেননি।