চাঁদপুর থেকে : সিলেটে খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন চাঁদপুরের ফারজানা আক্তার (২০)। বিয়ে শেষে সেখান থেকে ট্রেনযোগে ফেরার পথে দু'র্ঘ'ট'নায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। আর বাড়ি ফেরা হলো না এই তরুণীর।
ফারজানার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বালিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে। চাঁদপুর শহরের নাজিরপাড়া দেওয়ান বাড়ির মোহন দেওয়ানের স্ত্রী তিনি।
মা-ভাই-বোন, মামি আর নানির সঙ্গে ৭ নভেম্বর সিলেট যান ফারজানা। খালাতো বোনের বিয়ের আনন্দ শেষে ১২ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চাঁদপুরের পথে রওনা দেন তারা। ইচ্ছে ছিল লাকসাম স্টেশনে নেমে চাঁদপুর ফিরবেন। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হলো না।
গু'রু'তর আ'হ'ত হয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও ফারজানা বাড়ি ফিরেছেন লা'শ হয়ে। বুধবার চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বালিয়া গ্রামে বেপারী বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে ফারজানার স্বজনদের আ'হা'জা'রি।
সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা জানায়, ফারজানার বাবা বিল্লাল বেপারী দুবাই থাকেন। ৫ বছর আগে মোহন দেওয়ানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে তাদের কোনো সন্তান নেই। তাদের সুখের সংসার শেষ হয়ে গেল এক নিমিষেই।
ফারজানা ট্রেন দু'র্ঘ'টনায় মা'রা গেলেও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা এখনও বেঁচে আছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরা হলেন-ফারজানার মা বেবী বেগম (৪০), ভাই হাসান বেপারী (২৮), নানি ফিরোজা বেগম (৭০),মামি শাহিদা বেগম (৪০), মামাতো বোন মিতু (১৭), ইলমা (৭) ও মামাতো ভাই জুবায়ের (৩)।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার মন্দবাগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সং'ঘ'র্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৬ জন নি'হ'ত হন।