চাঁদপুর থেকে : গলায় ওড়না পেঁ'চিয়ে ফাঁ'স দিয়ে আত্মহ'ত্যা করেছে চাঁদপুরের মতলবে আফসানা মিমি (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী। তবে আত্মহ'ত্যার কিছুক্ষণ আগে সে নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর তার ম'রদে'হ উ'দ্ধা'র করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের মধ্য কলাদী এলাকার একটি বাসায় এ ঘ'টনা ঘ'টে।
আফসানা মিমি মতলব পৌরসভার দক্ষিণ বাইশপুর গ্রামের মনির হোসেন ফরাজীর ছোট মেয়ে। সে স্থানীয় রয়মনেননেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তো। আত্মহ'ত্যার আগে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে মিমি লিখেছেন, ''আত্মহ'ত্যা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়, জীবন মানে দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, বেদনা, এসব মোকাবেলা করে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে! পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই, জীবন মানে যু'দ্ধ!''
ওই কলেজছাত্রীর আ'ত্মহ'ত্যার বিষয়ে তাৎ'ক্ষ'ণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, আ'ত্মহ'ত্যার কিছুক্ষণ আগে আফসানা মিমি তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস লিখে যায়। তবে সেখানে তার আত্মহ'ত্যার জন্য কাউকে দায়ী করে কিছুই লিখে যায়নি। পরে ঘ'টনাস্থ'ল থেকে লা'শ উ'দ্ধা'র করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরিবার ও পুলিশ সূ'ত্রে জানা গেছে, শহরের মধ্য কলাদী এলাকায় আব্দুর রব মিয়ার ভবনের তিনতলায় আফসানার বড় বোন হালিমা ভাড়া থাকে। ওই বাসায় আফসানা তার বোনের সঙ্গে থেকে পড়াশুনা করতো। ঘ'টনার দিন হালিমা তার চার বছরের শিশু ছেলেকে আফসানার কাছে রেখে দক্ষিণ বাইশপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে যায়। কিন্তু সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখে ভেতর থেকে দরজা লাগানো। পরে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় হালিমা ঘরে ঢুকে বোনের ফাঁ'সিতে ঝু'লানো লা'শ দেখতে পায়।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, কী কারণে ওই কলেজছাত্রী আত্মহ'ত্যা ঘ'টেছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘ'টনায় থানায় একটি অ'পমৃ'ত্যুর মামলা হয়েছে। আজ বুধবার লা'শের ময়'নাতদ'ন্ত হবে।