নিউজ ডেস্ক : নদীগর্ভে বিলীন হলো উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত বিদ্যালয় ও সাইক্লোন সেন্টারটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নদীভা'ঙনের শি'কার হয় চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর এলাকায় অবস্থিত এই রাজরাজেশ্বর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিউল্লাহ সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিন তলাবিশিষ্ট এই স্কুলভবনটি নদীতে তলিয়ে যায়। ভবন হারিয়ে বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। অচিরেই এই চরাঞ্চলের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা বিস্তারে একটি ভাসমান বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী জানান, এই ভবনটির সাইট সিলেকশনের সময় নদী এখান থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ছিল। গত দুই মাস আগে এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলাবিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন কাম আশ্রয় কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ গত বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়। এর আগে বিদ্যালয়টি ১১ বার নদীভা'ঙনের শি'কার হয়।
গত কয়েক দিনে উজান থেকে প্রবল বেগে পানি আসায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকায় মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলে প্রচ'ণ্ড ঢেউ এবং ঘূর্ণিস্রোতের সৃষ্টি হয়। যে কারণে নদীভা'ঙন তী'ব্র আ'কার ধা'রণ করে। এই বর্ষায় রাজরাজেশ্বর এলাকায় কয়েক শ বসতভিটা নদীভা'ঙনের শি'কার হয়েছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নটি পদ্মা-মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত। বর্তমানে দুই নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর প্রবল স্রোতে ভা'ঙনের তীব্রতা বেড়ে গেলে নবনির্মিত ভবনটি নদীতে তলিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো ধরনের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল কি না, তা আমার জানা নেই। জেলার ইব্রাহিমপুর, হানারচর, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙ'ন অব্যাহত রয়েছে। ভা'ঙন রো'ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি বিপত্সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানান তিনি। তথ্যসূত্র ও ছবি: দৈনিক ইত্তেফাক