চাঁদপুর : চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণ রোধে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আবারও কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির জেলা হিসেবে চাঁদপুরে বুধবার (৩১ মার্চ) মাঠে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সব ধরনের ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে গণজমায়েত নিষিদ্ধ, পর্যটন স্পটগুলোতে জনসমাগম বন্ধ, রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ, বাস-লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন, কোচিং সেন্টার বন্ধ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য চলছে মাইকিং।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার আমরা জেলা কমিটির মিটিং করেছি। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে আমরা ভিডিও কনফারেন্স করেছি। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, উচ্চ ঝুঁকির যে জেলাগুলো আছে সেসব জেলায় সব ধরনের ধর্মীয়-সামাজিক জমায়েত তথা বিয়ে ও জন্মদিনের অনুষ্ঠান, ওয়াজ-মাহফিল, মেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটন এলাকাগুলোতে জনসমাগম নিষিদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাস-লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজগুলো আগে থেকেই বন্ধ আছে। তবে কিছু কোচিং সেন্টার খোলা ছিল। সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর রাত ৮টার পরে কোনও ধরনের মার্কেট কিংবা দোকান খোলা থাকবে না। সেই সঙ্গে জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৮টার পর বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। করোনা সংক্রমণরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। বুধবারও জেলাতে তিনটি মোবাইল কোর্ট এবং উপজেলাগুলোতেও মোবাইল কোর্ট ছিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করছি। বৃহস্পতিবার আমরা বাস মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মিটিং করবো। তারা যাতে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন এবং নিয়মগুলো মেনে চলে।’
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা ডাকাতিয়ার মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেড, মোহনপুর পর্যটন স্পট, মিনি কক্সবাজার খ্যাত চরে প্রতিদিনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন পর্যটকরা। চাঁদপুরে এ পর্যন্ত তিন হাজার ১১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯৩ জন।