শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রতিনিধি: সার্বজনীন পহেলা বৈশাখ প্রাণের উৎসবকে বরণ করে নিতে অন্যান্য জেলার ন্যায় চাঁদপুরবাসীও বসে আছেন অধীর আগ্রহে। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির আনন্দময় দিন। আবহমান কাল থেকে যথাযথভাবে এ পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করছে বাঙালি জাতি। আগামী ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাঙালির প্রাণের উৎসাহ-উদ্দীপনার উৎসব বাংলা নববর্ষ তথা বৈশাখী উৎসবে ফিরে আসবে ১৪২৩ বঙ্গাব্দ । উৎসবের আমেজ সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে ইতিমধ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সকল প্রস্ততি গ্রহন করেছেন। বৈশাখী আনন্দে নিজেকে সাজাতে ইতোমধ্যে কেউ কেউ বৈশাখী সাজে রাঙানোর জন্যে নতুন জামা কাপড় কিনে রেখেছেন। কেউবা কেনার প্রস্তুতি নিয়ে ঘুরাফেরা করছেন মার্কেটগুলোতে।
প্রতি বছরই বাংলাদেশে ঘটা করে পালিত হয় বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে চাঁদপুরে উদযাপিত হয়ে আসছে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। তাই গত বছরের মতো এবারো জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং চাঁদপুর পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ব্যাপক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে তিন দিনব্যাপী বর্ষবরণ উৎসব। আর এটি গত বছরের মতো এবারো উদযাপিত হবে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ঘাট ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের শান্ত-সুন্দর মনোরম পরিবেশে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের এই তিন দিনব্যাপী উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে চাঁদপুরের ২০টি সাংস্কৃতিক ও নৃত্য সংগঠন।
এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে দেশব্যাপী প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে এই বছর বৈশাখী উৎসবের সকল অনুষ্ঠান সকাল থেকে শুরু করে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে। সেজন্যে চাঁদপুরে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসবের প্রথম দিনের কার্যক্রম মঙ্গল শোভাযাত্রা সকাল ৯টায় শুরু করা হবে।
পরে সকাল সাড়ে ১০টায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হবে। এ তিন দিন বৈশাখী উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে সঙ্গীত নিকেতন, চাঁদপুর ললিতকলা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, চাঁদপুর মঞ্চ, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সুরধ্বনি সঙ্গীত একাডেমী, নৃত্যাঙ্গন ও সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়। উৎসবের দ্বিতীয় দিন নতুন কুঁড়ি, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, উদয়ন সঙ্গীত বিদ্যালয়, নৃত্যধারা ও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি। সমাপনী দিন বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, আনন্দ ধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষালয়, সপ্তসুর সঙ্গীত একাডেমী, তারুণ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রংধনু সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এদিকে প্রেসসক্লাব ডাকাতিয়া নদীর তীরে গত ৫ এপ্রিল থেকে মা ডেকোরেটর তাদের কাজ শুরু করেছে। তিন দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসবের আয়োজনে মা ডেকোরেটরের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে বৈশাখী উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বড় মঞ্চ। এছাড়াও উৎসবকে প্রাণবন্ত করতে ৩০টি স্টল নির্মাণ করা হবে বলে জানায় ডেকোরেটরের কর্মচারীরা।প্রতিটি স্টলগুলোতে পাওয়া যাবে বৈশাখীর পণ্য-সামগ্রীনহ বিভিন্ন কেনাকার সামগ্রী। আসছে ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সেখানে ব্যাপক সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হবে ১৪২৩ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
৯ এপ্রিল ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস