শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রতিনিধি: জমিদার আর জমিদারি না থাকলেও পড়ে আছে শুধু জমিদারের সেই রেখে যাওয়া স্থাপত্য। চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার কড়ৈতলী নামক গ্রামের জমিদার বাড়ি। নামে জমিদার বাড়ি হলে ও এখন এটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। জমিদার বাড়িটি বাবুর বাড়ি নামেই সকলের কাছে পরিচিত। জমিদার বাড়িটি ঘিরে রয়েছে কয়েক'শ বছরের ইতিহাস। চাঁদপুর শহর থেকে আনুমানিক ২০ কি.মি. দূরে অবস্থিত ছায়া ঢাকা সবুজের সমারহে বিবর্ণ গ্রাম কড়ৈতলী। সেখানকার জমিদার বাড়িটি এখন শুধু কালের সাক্ষী হয়ে পড়ে আছে। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে দূর্গা মন্দির। রয়েছে জরাজীর্ন লতা-পাতা মোড়ানো বিধ্বস্ত প্রাসাদ, অট্টালিকা। আরো আছে ঐতিহ্যবাহী কাছারি ঘর এবং প্রচলিত আন্ধার মানিক নামের সুরঙ্গপথ।
জানা যায়, ১২২০ সালে হরিশ চন্দ্র বসুর হাত ধরে জমিদারদের কড়ৈতলীতে প্রত্যাবর্তন। ১৯৫১ সালে শেষ জমিদার গোবিন্দ চন্দ্র বসুর হাত ধরে সমাপ্তি ঘটে রাজ পরিবারের। বিশাল জমির উপর প্রতিষ্ঠিত জমিদার বাড়িটির অস্তিত্ব এখন সামান্য যায়গা নিয়ে। তার উপর যা আছে তাও যথাযথ ভাবে পর্যবেক্ষণ না করার কারণে বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে এই জমিদার বাড়িটি।
এলকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, তৎকালীন জমিদাররা ছিলেন অত্যাচারী, হিংস্র স্বভাবের। জমিদারদের প্রজন্ম থাকলে ও তারা বোধয় এগুলোর খবর রাখে না। জমিদারদের কর্মচারী হিসেবে সেখানে অনেক পরিবারই এখন বসবাস করে আসছেন। এলাকাবাসী আরো জানান, চাঁদপুর ছাড়াও অনেকে অন্য জেলার দূর দূরান্তের পথ পারি দিয়ে এখানে ঘুরতে আসেন। এখানে ভ্রমন প্রিয়সী মানুষজন জমিদার বাড়িটি দেখতে অধীর আগ্রহ প্রকাশ করে থাকনে। জমিদারদের এই নিদর্শন স্থানটি অনেকের মনে দারুণ সাড়া জাগিয়েছে। আকৃষ্ট পর্যটকদের মধ্যে যারা প্রথমে এসেছেন, তারা আবার নতুন মানুষদের এখানে ঘুরতে নিযে আসেন।
এদিকে যথাযথ পরিচর্যা আর দেখা শুনার অভাবে জমিদার বাড়িটির সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি হারাচ্ছে এর জমিদারী প্রশাদী রক্ষণাবেক্ষণের স্থান। অনেক মনে করছেন সরকারি হস্তক্ষেপে হয়তো জমিদার বাড়িটি ও হতে পারে অন্যতম এক পর্যটন কেন্দ্র। জমিদার বাড়িটি রক্ষায় সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
২৪ এপ্রিল ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস