নিউজ ডেস্ক: নাজমুল আলম (৩০) সাত বছর আগে মাহমুদা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাঁদের পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মাহমুদার অনুমতি ছাড়াই নাজমুল তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ লোক নিয়ে গোপনে এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) বিয়ে করতে যান। ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে নাজমুলের স্ত্রী মাহমুদা ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান তাঁর স্বামী বর সেজে আছেন। সেখানে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
উপস্থিত লোকজন মাহমুদার কাছে ঘটনা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। নাজমুলকে গণধোলাই দিয়ে ওই বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। পালিয়ে যান নাজমুলের সঙ্গীরা। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সেখানে এক সালিস হয়। সালিসে নাজমুলের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার জরিমানা আদায় করা হয়। পরে মুচলেকা আদায় করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নাজমুল আলম বলেন, তাঁর ভুল হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন না। ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, নাজমুল আগের বিয়ের কথা গোপন করে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছেন। এটি একটি প্রতারণা। ভবিষ্যতে বুঝে-শুনে মেয়েকে বিয়ে দেবেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহীদ উল্যাহ প্রধান বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার জন্য ওই ছাত্রীর মা-বাবাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে কেউ কিছু তাঁকে জানায়নি।-কালের কন্ঠ
১৮ মে ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ