চাঁদপুর : বখাটের উৎপাতে বাসরঘর করা হলো না দশম শ্রেণীর ছাত্রী শাহিদা আক্তার মুক্তার। কয়েক মাস আগে এক প্রবাসীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়েছিল তার। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে দেখা হলো তার।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী শাহিদা আক্তার মুক্তা স্বামী দেশে ফেরার আগেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন।
শুক্রবার দুপুরে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মুক্তার বাবা প্রবাসী মিন্টু মিয়া। হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ এলাকায় তাদের বসতভিটা। গ্রামের বাড়ি উপজেলার ১০নং গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়নের পাঁচৈই এলাকায়।
মুক্তার মা জেসমিন বেগম বলেন, সকালে মেয়ে ঘুমানোর কথা বলে কক্ষে যায়। পরে ঘরের পাখার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। মামুন নামের এক ছেলে প্রতিনিয়ত তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
তিনি জানান, মামুন আমাদের নিকটাত্মীয়। তার বখাটেপনা থেকে মেয়েকে বাঁচাতে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরও মামুন উত্ত্যক্ত করছিল। আমি মামুনের বিচার চাই।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন কামাল গণমাধ্যমকে জানান, স্কুলছাত্রীর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তার পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। না হলে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
১৭ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম