চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলবে স্ত্রীর প্রেমিকের লোকজনের হাতে বেধরক মার খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এক ব্যক্তি। তার নাম আলমাছ মিয়া। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের নেদামী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোমবার রাত ৯টায় স্ত্রী রুজিনা ও পরকীয়া প্রেমিক একই গ্রামের এবাদুল হক মাঝির ছেলে খলিলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় ওই গ্রামের সিদ্দিক প্রধানের ছেলে আলমাছ। নিজ স্ত্রীকে এভাবে দেখে খলিলের পিছু নিয়ে তাকে ধরতে সক্ষম হয় আলমাছ। এরপর এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পরে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন মাস্টার ও সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলামের সামনে থেকে আলমাছকে জোড়পূর্বক আলমাছকে নিয়ে যায় বখাটে খলিল, তার ভাই তৌহিদ, জলিল, ইসরাফিল, সেরাজুল মাঝির ছেলে খোরশেদ আলম, আক্তার হোসেন, মহর আলী মাঝির ছেলে নজরুল মাঝিসহ ১০/১২জন বখাটে।
তারা আলমাছকে গণধোলাই দেয়। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে আলমাছকে। পরে, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন মাস্টার বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে আলমাছের সঙ্গে কথা বলছি। এমতাবস্থায় আলমাছকে খলিলসহ তার ভাইয়েরা আমার সামনে থেকে জোড় করে ধরে নিয়ে মারধর করেছে। আমি তাদেরকে বাধা দিলেও তারা আমার কথা শুনেনি।
২২ জুন/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম