চাঁদপুর : মসজিদের ইমামের কাণ্ড, এক স্কুলছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টার অভিযোগে তার কক্ষে তালা লাগিয়েছে লোকজন। এ ঘটনায় পালিয়েছে ইমাম।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে।
অভিযোগ রয়েছে, ওই ইমাম এর আগে আরো দুই ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা করেন।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের বোয়ালিয়া কাজীবাড়ি ইউনিয়নের মাওলানা জহির কাজী (৫৫) একই ইউনিয়নে নোয়াপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কাজীবাড়ী জামে মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।
মসজিদের এক কোণে একটি রুমে থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে এলাকার শিশুদের আরবী পড়াতেন।
প্রতিদিনের ন্যায় গত সোমবার সকালে শিশুরা আরবী পড়তে আসে।
পড়া শেষে মাওলানা জহির কাজী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা করেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, বিষয়টি আমার স্ত্রীর কাছ থেকে জানার পর মসজিদ কমিটির সদস্যসহ সবাইকে অবহিত করি।
তিনি বলেন, তারা সবাই ওইদিন সন্ধ্যার পর আমার বাড়িতে আসেন এবং ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পান। আমাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে ওই রাতেই তারা ইমামকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
পরে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে হুজুরের থাকার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়।
এদিকে ওই এলাকার কাইরান বাড়ির এক নারী অভিযোগ করেন, গত দুই মাস আগে তার মেয়েকে এবং একই বাড়ির অন্য এক মেয়েকে ইমাম পাশবিক হয়রানির চেষ্টা করেন।
ওই নারী বলেন, বিষয়টি তখন মসজিদ কমিটির লোকদের অবহিত করলে তারা এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। উল্টো কমিটির লোকজন আমাদের অপমান করেছে।
এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সদস্য এনায়েত উল্যাহ বলেন, ঘটনাটি শোনার পর সন্ধ্যায় মিজানের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে পরের দিন বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ইমাম স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত ইমাম মাওলানা জহিরের সাথে যোগাযোগ করলে জানান, তাকে মসজিদ থেকে তাড়ানোর জন্যই নাটক সাজিয়েছে। তবে পালিয়ে আসার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।
২২ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম